ক্ষেতলালে কদম গাছ পড়ে বিধ্বস্ত এক পরিবার! ১৬ দিনেও কর্তন হয়নি গাছ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামে প্রতিবেশি শফিকুল ইসলামের কদম গাছ পড়ে আব্দুর রহমানের ছেলে রুবেল হোসেনের ইটের দুটি ঘর ও বারান্দার টিন দুমড়ে-মুচড়ে যায়। প্রতিবেশিকে বার বার বলে ১৬ দিনেও গাছ কর্তন না করায়, মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ভুক্তভোগী রুবেলের পরিবার।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২১ মে রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে রাজমিস্ত্রি রুবেল হোসেনের ঘরের ওপর থাকা প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম এর কয়েকটি কদম গাছ পড়ে ইটের দুটি ঘর ও বারান্দার টিন দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ভুক্তভোগী পরিবার গাছগুলো কর্তন করার জন্য মালিক পক্ষ কে অনেক বার বলেও কোনো ফল হয়নি। ফলে ঝড়ে চাপা পড়া ঘরেই ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে পরিবারটি।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ঝড়ে গাছ পড়ে বাড়ির দেয়াল ধসে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌখিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করতে না পারায় ঝড়-বৃষ্টিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে রুবেল হোসেনের স্ত্রী লাভলী বেগম বলেন প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম কে অনেক বার বলেছি গাছগুলো কর্তন করতে তিনি আমাকে বলেছেন গাছের একটা ডাল ও কর্তন করবো না। তোমরা কি করতে পারো করো।

রাজমিস্ত্রি রুবেল হোসেন বলেন, গত ২১ মে রাতে হঠাৎ করে ঝড়ে গাছগুলো ঝাঁকিতে আমার ঘরের দেয়াল ধসে পড়ে। এবং ঘরের সবগুলো টিন দুমড়ে মুচড়ে উড়ে যায়। ওই সময় আমি ঘরের মধ্যে ছিলাম। পরে ছেলের সাহায্যে বাইরে বের হয়ে প্রাণে বেঁচে যাই। তিনি আরও বলেন, অনেক জায়গায় জানিয়েও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেউ। এখন আমরা কোথায় যাব, কী করব? খুব কষ্টে আছি।

এবিষয়ে গাছের মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি চাই যে আমিন নিয়ে এসে সীমানা নির্ধান করে গাছগুলো কর্তন করা যেতে পারে। আমিও চাই না যে গাছের কারনে কারো ক্ষতি হোক।

আরো পড়ুন:
অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না ইব্রাহীমের
প্রেমিকার আত্মহত্যার শোকে প্রেমিকের আত্মহত্যা

মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম বলেন, ‘গাছগুলো অপসারণ করা জরুরি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাক অবগত আছেন।

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, গাছ গুলো যেহেতু ব্যক্তি মালিকানা সেহেতু আমাদের তেমন কিছু করনীয় থাকে না, তবুও আমি আমার ব্যক্তিগতভাবে গাছের মালিক কে গাছ কাটার জন্য অনুরোধ করেছি, যদি আমার অনুরোধে একটি অসহায় পরিবারের উপকার হয় এজন্য আমিও সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।

আজকেও আমি তাকে ফোন করে অনুরোধ করেছি গাছের মালিক গাছ কর্তন করবেন বলে আমাদেরকে বলেছেন। আমার কাজ মানুষকে সেবা দেওয়া, তাই আমি যতোদিন এখানে আছি যে কোন ঘটনার তথ্য পেলে তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক পেলে আমার চেষ্টায় যতো দ্রুত সম্ভব সেই অসহায় পরিবারের উপকার করবার চেষ্টা করবো। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কে সহযোগিতা করবো।

জুন ০৬,২০২২ at ১৬:৫০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শাআ/রারি