যশোর রেলওয়ের কর্মচারী মো. আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. মেহেদী হাসান নামে এক ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার (৫ জুন) দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। মেহেদী হাসান অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মহসীন ব্যাপারীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমিসহ আমার মা ও ছোট ভাইয়ের নামে অভয়নগর উপজেলার মহাকাল মৌজায় রাজ টেক্সটাইল মিলের সামনে ‘মেসার্স মেহেদী এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি তুলার মিল রয়েছে। যা বাংলাদেশ রেলওয়ের ইজারাকৃত জমিতে নির্মিত। পুরাতন জমি নবায়ন ও পার্শ¦বর্তী দখলে থাকা আরো পাঁচশতক নতুন জমি ইজারা পাইবার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করি।
এ ব্যাপারে যশোর রেলওয়ের সহকারী আমিন মো. আব্দুল মতিনের (১৭নং কাচারী) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিভিন্ন সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। দীর্ঘ তিন বছর পার হলেও আব্দুল মতিন আমাদের কোন কাগজপত্র বা টাকা ফেরত দেননি। বরং আরো ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় পূর্বের ইজারা বাতিলসহ নতুন জমি অন্যকে দেওয়ার হুমকি দেন।
তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে যশোর রেলওয়ের সহকারী আমিন আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা যাচাইপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এছাড়া পুরাতন জমির ইজারা নবায়নসহ ফাঁকা জমির ইজারা পেতে পারেন মর্মে রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মেহেদী হাসানের বাবা মহসীন ব্যাপারী, ছোটভাই মিজানুর রহমান, চাচাতো ভাই আলমগীর হোসেন, প্রতিবেশী মো. বাবু, মো. আব্দুল্লাহ, মেহেদী হাসান হৃদয় প্রমুখ।
যশোর রেলওয়ের সহকারী আমিন মো. আব্দুল মতিন অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, অভয়নগরের মেহেদী হাসান নামে এক ব্যবসায়ী ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করে ইজারার রশিদ নিয়েছেন।
চলতি বছরের ৩১ মে সেই মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাত কয়েক যুবক বেশকিছু টাকা নিয়ে আমার টেবিলে রেখে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
জুন ০৫,২০২২ at ১৫:৩৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জাহো/রারি