বিএনপির রঙিন খোয়াব দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে: সেতুমন্ত্রী

ওবায়দুল কাদের : ফাইল ছবি।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দাওয়াত পাবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিয়মের মধ্যে পড়লে অবশ্যই দেব। এখন উনি তো সাজাপ্রাপ্ত। বিএনপি চেয়ারপারসন হিসেবে পাওয়ার কথা। বিরোধীরা সবাই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবেন। বিএনপি নেতারাও দাওয়াত পাবেন।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন ও বিএনপি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটা বড় দল, তারা নির্বাচনে আসুক আমরা চাই। ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এখন নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যদি মনে করেন হত্যা সন্ত্রাসের পথে থাকবেন, যদি মনে করেন শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ষড়যন্ত্রের চোরাগলি দিয়ে আপনারা ক্ষমতার মসনদে বসবেন, তাহলে এই রঙিন খোয়াব দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।

শনিবার (৪ জুন) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাকের আয়োজনে নারী গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ-পরবর্তী সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২৫ জুনের প্রস্তুতি শুরু করেছি, বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানাব। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরকেও আমন্ত্রণ জানাব। এ সময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সেই মিয়াং টেমবন তার পাশেই বসা ছিলেন। তিনি বলেন, কে সরকারের পক্ষে আর কে বিপক্ষে তা দেখব না। রাজনৈতিকভাবে যারা বিরোধিতা করেছে, তাদেরও আমন্ত্রণ জানাব, চিঠি পাঠাব।

আরো পড়ুন:
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ
আগামীকাল শুরু বাজটে অধিবেশন, বাড়ছে ভর্তুকি

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নানা প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় গণপরিবহনে ডিসিপ্লিন নেই। ডিসিপ্লিন না থাকলে উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল আসবে না।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি নিয়ে বিএনপির সমলোচনার জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির কিছু নেতা আবোলতাবোল বকছেন, তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাথা খারাপ হয়েছে কারণ পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলকে তারা সহ্য করতে পারছে না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট তারা জীবনে দেখেও নাই, করেও নাই। শেখ হাসিনা করছে এ জন্য তাদের বুকে বিষব্যথা। ব্যথা আর জ্বালায় জ্বলছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নারী প্রশিক্ষণার্থীদের ষষ্ঠ ব্যাচে মোট ১০ জন নারী ও একজন তৃতীয় লিঙ্গেরসহ মোট ১১ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। উত্তরা, আশকোনা ও নিকেতনে অবস্থিত ব্র্যাক ড্রাইভিং স্কুলে ৩ মাসের আবাসিক ও ৩ মাসের শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ শেষে এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে বিআরটিএ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছেন তারা।

জুন ০৪,২০২২ at ১৫:২৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভক/জাআ