নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ

বরগুনার তালতলী উপজেলার ৫নং বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর হোসেন আলম মুন্সী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা অফিসে তালা, অফিস ভাংচুর, ভোটারদের মারধর, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার হুমকিসহ নানা অভিযোগ করা হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওই ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শহিদুল হক তার নির্বাচনী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ করেন।

শহিদুল হক তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১ জুন ইউনিয়নের হড়িনখোলা এলাকার চরপাড়ায় (নতুন বাজার) তার নির্বাচনী অফিসে তালা লাগিয়ে দেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলম মুন্সীর সমর্থকরা। পরে তালতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অফিস খুলে দেন।

অন্যদিকে ২ জুন মোমেসেপাড়া ভূমি অফিসের সামনে তার (আনারস প্রতীক) নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেন নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। পরে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওইদিন রাতে নৌকা প্রতীকের ছেলে সফিকের নেতৃত্বে আনারস প্রতীকের ২ সমর্থককে মারধর করা হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং তার সমর্থকরা প্রতিনিয়ত তাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। অন্যথায় জীবর নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এ মূহুর্তে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। এছাড়াও ভোটারদের মারধর, বাড়ি-ঘরে হামলা, হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি দেখানোসহ প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেওয়াসহ নানা অভিযোগ করেন তিনি।

শহিদুল হকের দাবি, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং নৌকা প্রতীক প্রার্থীর জনপ্রিয়তা না থাকায় এসব আচরণ করছেন। তাই নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানান।

এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর হোসেন আলম মুন্সী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। সব অভিযোগ অসত্য বলে তিনি দাবি করেন।

জুন ০৪,২০২২ at ১৪:৫৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মির/রারি