যশোর মাড়োয়ারি মন্দির কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ!

যশোর মাড়োয়ারি মন্দির।

যশোর মাড়োয়ারি মন্দির কমিটির সভাপতি তন্ময় সাহা ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ প্রায় ৩ দশক ধরে তারা দুইজনে কৌশলে মন্দির কমিটি দখল করে রেখেছেন। যা নিয়ে কমিটির ভেতর অসন্তোষ চলছে। এদিকে মন্দিরের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ কয়েকবছর আগে কয়েকটি স্হানীয় পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশ হলে টাকা চুরি অপরাধে তন্ময় সাহাকে যশোর বড়বাজার কালীবাড়ি মন্দির কমিটি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এছাড়া মাড়ুয়ারী মন্দির কমিটির দোকান বরাদ্দের টাকার একটি অংশ নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তন্ময় সাহার ও উত্তম সাহার বিরুদ্ধে।

২০০৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর ধরে সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে ছিলেন তন্ময় সাহা। গত বছর মন্দিরের সভাপতি ভজন চন্দ্র মারা গেলে তিনি উত্তম সাহার সাথে যোগসাজশে করে সভাপতি হন। এদিকে উত্তম সাহার বিরুদ্ধে চোরাই সোনা কেনা, সিটি গোল্ডের গহনা ও মন্দিরের পুরোহিতের প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সুমনের ভিক্ষার টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে সুমন এলাকার লোকজনের কাছে বিচার দেয় এবং উত্তম সাহার দোকানে গিয়ে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে তার টাকা ফেরত দিতে বলে। সুমনের কান্নাতে তখন এলাকায় লোকজমা হয়ে যায়। তখন সুমনকে জলের বোতল ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে উত্তম সাহা।

মন্দির কমিটির বর্তামান নির্বাহী সদস্য নলিনী দত্ত জানান, মন্দিরের বিভিন্ন অনুদান, খরচের হিসাব চায়লে তা তন্ময় সাহা ও উত্তম সাহা দেয়না। তারা নিজেদের ইচ্ছা মত চলে। কমিটির কারো কথা শুনো না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। মন্দিরে সাধারণ ভক্ত বা এলাকাবাসী যাওয়া পছন্দ করেন না উত্তম সাহা। মন্দিরের প্রসাদের বেশির ভাগ অংশ বাড়ি নিয়ে যান উত্তম সাহা। মন্দিরে উপস্থিত ভক্তদের দেওয়া হয়না। আগে আমরা মন্দিরে প্রতি শুক্রবার খিচুড়ি প্রসাদ দিতাম, এখন আর তা দেওয়া হয়না।

আরো পড়ুন:
টিকটক করতে গিয়ে বনে আগুন!
বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি বাড়ানোর সুপারিশ

মন্দিরের সাবেক নির্বাহী সদস্য রবি সাহা জানান, তন্ময় সাহা ও উত্তম সাহা গোপনে কমিটি বানান, তাদের ইচ্ছা ও পছন্দের লোক রাখেন। কমিটির গঠনের পর পত্রিকায় তা কখনো দেয়না। মন্দিরের দোকান ভাড়া রসিদ দেওয়া হয়না। একটি অংশ তারা বাড়ি নিয়ে যান।

কালী মন্দির কমিটির টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে কালী বাড়ি মন্দির কমিটির বর্তমান নির্বাহী সদস্য ও জেলা পূজা পরিষদের সাবেক নেতা পবিত্র সাহা বলেন, টাকা চুরির বিষয়ে হিসাব চাইলে তন্ময় সাহা কোন হিসাব দিতে পারেনি। তখন উপস্থিত সকলে মিলে তন্ময় সাহাকে মন্দির থেকে বের করে দেওয়া হয়।

মে ১৮,২০২২ at ১৭:০৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/অসম/জআ