অবশেষে ভারত ভ্রমণে করোনা পরীক্ষার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতে নানা শর্ত জারি করে দুই দেশের সরকার।
এসব শর্তের মধ্যে ছিল ভারত যাওয়া ও ফেরার সময় বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা, ব্যক্তিগত খরচে ১৫ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের ছাড়পত্র। এখন ডাবল ডোজ টিকা গ্রহণকারীরা করোনা পরীক্ষা ছাড়াই যেতে পারছে ভারতে। অতিরিক্ত অর্থ খরচ আর ভোগান্তি থেকে মুক্তি মেলায় এখন খুশি যাত্রীরা।
জানা যায়, দুইবার করোনা পরীক্ষায় প্রত্যেক যাত্রীকে গুনতে হতো সাড়ে তিন হাজার টাকা। আর কোয়ারেন্টিন ও ছাড়পত্র নিতে তো ভোগান্তির শেষ ছিল না। তবে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় ধীরে ধীরে এসব নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে সরকার। প্রথমে কোয়ারেন্টিন প্রত্যাহার, পরে উঠে যায় দূতাবাস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র। পর্যায়ক্রমে বুস্টার ডোজ টিকা গ্রহণকারীরা সুযোগ পায় করোনা পরীক্ষা ছাড়াই ভ্রমণে। এক মাস আগে থেকেই ডাবল ডোজ টিকা গ্রহণকারী ভারতীয়রা করোনা পরীক্ষা ছাড়া আসা-যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তবে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের বাধায় এত দিন ধরে ভারত যাওয়ার সময় বাংলাদেশিদের করতে হচ্ছিল করোনা পরীক্ষা। এতে ক্ষোভ ছিল যাত্রীদের। অবশেষে সোমবার সকাল থেকে ডাবল ডোজ টিকা গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের করোনা পরীক্ষা ছাড়াই ভারত ভ্রমণের সুযোগ হয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল থেকে করোনা টিকার ডাবল ডোজ গ্রহণকারীদের ভারত যেতে আর করোনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে না। তবে যাত্রীদের সঙ্গে করোনা টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক রাখতে হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মদ রাজু জানান, ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এত দিন ডাবল ডোজ টিকা গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ ছাড়া ঢুকতে দেয়নি। এখন করোনা পরীক্ষা ছাড়াই ঢুকতে দিচ্ছে। বর্তমানে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ট্যুরিস্ট, মেডিক্যাল, স্টুডেন্ট, বিজনেসসহ সব ধরনের ভিসায় যাতায়াত করতে পারছে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।
এপ্রিল ০৯.২০২২ at ২০:৩৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কক/জআ
