গোমস্তাপুর গমের বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষকরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এবার রবিশস্য গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে গম চাষাবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের গম চাষাবাদ করছেন কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি গম উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রোগবালাইয়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় কৃষকেরা গমের ভালো ফলন পাচ্ছেন। খরচ কম হওয়ায় গম চাষাবাদেও আগ্রহী হচ্ছেন তাঁরা। চলতি মৌসুমে উপজেলার ২ হাজার কৃষককে গম প্রণোদনার বীজ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন প্রদর্শনীর জন্য সার, বীজ ও কীটনাশক (বীজ) বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া গোমস্তাপুর উপজেলায় বারি ৩২-১ হাজার ৭৬০ হেক্টর, বারি ৩০-১ হাজার ৫৪০ হেক্টর, বারি ৩৩-৭৪০ হেক্টর, বারি ২৮-৭০০ হেক্টর, বারি ২৬-৪০০ হেক্টর, বারি ২৫-২৫০ হেক্টর, প্রদীপ-১০০ হেক্টর ও শতাব্দী ৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। এবার গম বিঘাপ্রতি গড়ে ১৬ থেকে ২০ মণ ফলন হচ্ছে।

কৃষকেরা বাজারে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ দরে গম বিক্রি করছেন। কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর ১৭ বিঘা জমিতে গম চাষাবাদ করেছি। উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। বিঘাপ্রতি ১৫ মণ গম উৎপাদন হয়েছে।

আরো পড়ুন :
বিএসপির সাহিত্য সভা ও পুরস্কার প্রদান
বাম নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন

আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, গম চাষে এবার পাঁচ বিঘা জমিতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ধারণা করছি, গমের ফলন ভালো হবে এবং বাজারে গম বিক্রি করে বেশি দাম পাওয়া যাবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, ‘এ উপজেলায় ৫ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমির বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৬০ টন। নতুন জাতের গম বারি ৩০, ৩২ ও ৩৩ চাষ করতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশা করছি গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গম ভালো উৎপাদন হবে। খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা গম উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন। একই সঙ্গে গমের বাজার ভালো থাকলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।

কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ বিভিন্ন সময় কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন। ২ হাজার কৃষককে কৃষি প্রণোদনার বীজ, সার ও কীটনাশক বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপজেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করছি।

এপ্রিল ০১.২০২১ at ১৫:৪৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কই/রারি