শিবগঞ্জে আলু বীজ সংকটের আশংকা

বগুড়ার শিবগঞ্জে গত ২ দিন আকস্মিক টানা বর্ষন ও হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় এই উপজেলা আলু মৌসুমে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কৃষকের করুন দশায় উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা মাঠে পর্যায়ে আলু সংরক্ষনে সার্বক্ষনিক কৃষকদের পরামর্শ প্রদান। বীজ আলু সংকটের আশংকা করছেন কৃষকরা। এই উপজেলায় ৩ হাজার কৃষক, সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপন করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিহার ইউনিয়নের নাটমরিচাই, পৌর এলাকার বগিলাগাড়ী, লালদহ, দহিলা গ্রামের মাঠের আলু বৃষ্টির পানিতে ডুবে রয়েছে। অনেক কৃষকরা তাদের ডুবে যাওয়ার আলু ক্ষেতের আলুর পানি ছেলে, সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে নিষ্কাশন করছে আবার কেউ কেউ ডুবে যাওয়া অপ্রাপ্ত আলু তুলতে থাকে।

এমন সংবাদ উপজেলা কৃষি অফিসার আল মুজাহিদ সরকার জানার পর তাৎক্ষনিত তিনিসহ অত্র অফিসের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কেএম রাফিউল ইসলাম কে সঙ্গে নিয়ে পৌর এলাকার দহিলা মাঠে কৃষকদের কাছে ছুটে জান। এসময় তিনি পানিতে ডুবে থাকা আলু উত্তোলন করার পরামর্শ প্রদান করেন এবং অধিকাংশ জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।

আলু চাষী বোরান উদ্দিন, মজনু মিয়া, আ. কাদের আ. মজিদ, আবুল কাশেম বলেন জীবনে কখনো মাঘ মাসে এ ধরনের বৃষ্টি দেখিনি। তারা আরো বলেন বৃষ্টির পানিতে আলুর জমি তলিয়ে থাকায় আমরা হতাশায় রয়েছি। আলু পচে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হওয়ায় অপ্রাপ্ত আলু আমরা বাধ্য হয়ে জমি থেকে উঠিয়ে নিচ্ছি।

আরো পড়ুন :
ভূঞাপুরে রাত পোহালেই স্থগিত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ
তালতলীতে অর্ধ কোটি টাকার মুদি মালামাল নিয়ে ট্রলার ডুবি

পানিতে ডুবিয়ে থাকা আলু হিমাগারে বীজের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে না। যদিও হিমারে আলু সংরক্ষন করা হয় সেক্ষেত্রে আলু নষ্ট হয়ে যাবে। তাই আগামীতে আলু বীজ সংকটের আশংকা রয়েছে বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

ভাসুবিহার গ্রামের আলু চাষী ইব্রাহীম বলেন আমি ৪ বিঘা জমিতে স্টিক, পাকরিসহ বিভিন্ন জাতের আলু রোপন করেছিলাম, আর মাত্র ২০দিন পর আলু তুলতে হতো বর্তমানে ২৫০ টাকা মনে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ এই আলু ১মাস পর ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করা যেতো।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে এলাকার অধিকাংশ জমির আলু পানিতে ডুবে যাওয়ায় ইতিমধ্যে উপজেলার প্রতিটি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক কৃষকদের পাশে থেকে আলুর ফসল রক্ষার্থে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আমি মনে করি আর যদি বৃষ্টি না হয়ে ক্ষেত্রে কৃষক আলু রক্ষা হবে, অন্যথায় আলু পচন ধরার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফেব্রুয়ারী ০৬.২০২১ at ২০:১২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সামি/রারি