কাহালুর ভাগদুবরার গৃহহীনদের আবাসন প্রকল্প হবে দর্শনীয় স্থান

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় তৃতীয় ধাপে মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতির আরও ৪৬ গৃহহীন পরিবার পাবেন জায়গাসহ নতুন বাড়ি। এই ৪৬ টি বাড়ির মধ্যে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সাথে ভাগদুবরার আবাসন প্রকল্পটি হতে পারে দর্শনীয় স্থান।

সংশ্লিষ্ট সুত্রমতে উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে প্রথম ধাপে সরকারি সম্পত্তির উপর ১ কোটি ৩১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যায়ে ৭৭ টি গৃহহীন পরিবারকে নতুন বাড়ি দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৫৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ৩০ টি পরিবারকে জায়গাসহ নতুন বাড়ি দেওয়া হয়েছে।

তৃতীয় ধাপে ৪৬ টি গৃহহীন পরিবারের জন্য সরকারি জায়গার উপর বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ৪৬ টি বাড়ি নির্মাণে সরকারি ব্যায় হবে ১ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ৪৬ টি বাড়ির মধ্যে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের পাশে ভাগদুবরায় যে ২৭ টি বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে তা খুবই মুল্যবান সম্পত্তির উপর। এখানে বিশাল পুকুর পাড়ের তিন ধারে গৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সৌখিন বাড়ি।

ইতিপূর্বে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে যারা সরকারি বাড়ি পেয়েছেন তারাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমানের খুবই প্রশংসা করেছেন। তারা অনেকেই বলেছেন প্রভাবশালীদের দখলে থাকা সরকারি জায়গা উদ্ধারসহ গৃহহীনদের বাড়ি নিমার্ণে যেভাবে আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন ইউএনও মোঃ মাছুদুর রহমান, তা আমাদের কাছে স্বরণীয় হয়ে থাকবে।

আরো পড়ুন :
থানচি ইতিহাসের বড় শোকাহত পরিবার কেমন আছেন?
বঙ্গবন্ধু সেতুতে পরিবহন দুর্ঘটনায় দীর্ঘ যানজট

বিশেষ করে মহাসড়কের পাশে ভাগদুবরায় গৃহহীনদের নির্মাণাধীন বাড়ি পরিদর্শনে তিনি প্রায় সেখানে যাচ্ছেন। এখানে পুকুরের তিন ধারে চলছে বাড়ি নির্মাণের কাজ। মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে নান্দনিক কিছু করার জন্য গর্ত ভরাট করা হয়েছে মাটি ও বালু দিয়ে। অত্র উপজেলায় মানুষের তেমন কোন বিনোদনের জায়গা নেই।

গৃহহীনদের আবাসন প্রকল্পের সামনে যে ফাঁকা জায়গায় রয়েছে সেখানে পার্ক নির্মাণ হলে সেটিই হতে পারে এখানকার মানুষের একটি বিনোদনের ক্ষেত্র। সেই পরিকল্পনা নিয়েই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান এখানে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। সেখানকার বাসিন্দাদের মতে এখানে পার্ক করা হলে গৃহহীনদের যতগুলো আবাসন প্রকল্প আছে তার মধ্যে এই আবাসন প্রকল্প উন্নত মডেল হিসেবে ধরা যাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান জানান, এখানে যতগুলো আবাসন প্রকল্প রয়েছে তারমধ্যে এই আবাসন প্রকল্পের জায়গা সবচেয়ে মুল্যবান। এখানে ভালো কিছু করা হলে আগামী দিনে এই আবাসন প্রকল্পটি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে দর্শনীয় স্থান হতে পারে।

জানুয়ারি ১৪.২০২১ at ১৬:১৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শা/রারি