বগুড়া কাহালুতে নিবার্চনী সহিংসতায় আহত নৌকা সমর্থক ফারুকের মৃত্যুর ঘটনায়। কাহালু সদর ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক পি এম বেলাল হোসেনসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
৪ জানুয়ারী ফারুকের ছোট ভাই ফেরদৌস আলম বাদী হয়ে কাহালু থানায় এই মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে আসামিরা পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্য ফারুকে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে।
এই মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো. জামাল উদ্দিন কাহালু কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লি. এর চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান রাজিব, পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. আব্দুল আলিম রানা। সহ-সভাপতি আবু বক্কর। উপজেলা ছাত্রলীগ সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. বায়েজিদসহ উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী রয়েছে।
পুলিশ সুত্র জানান, ইউপি নির্বাচনের প্রচারনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগ প্রার্থী এনামুল হক মিঠু ও বিদ্রোহী প্রার্থী পি এম বেলাল হোসেনের সমর্থক দের মধ্যে সংঘর্ষে ফারুক আহত হন। তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২ জানয়ারী সকাল ৬ টা ২৮ মিনিটে মারা যান।
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মো. আমবার হোসেন জানান এই মামলা টি খুবই গুরুত্বের তদন্ত করাসহ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান পি এম বেলাল হোসেন সহ মামলার অন্যন্য আসামিদের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে পওয়া যায়নি। উল্লেখ যে সহকারী অধ্যাপক পি এম বেলাল হোসেন, পরপর টানা তিন বার ইউপি চেয়ারম্যান নিবার্চিত হলেন।
জানুয়ারি ০৪.২০২১ at ১৭:২৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শা/রারি