যশোরে ৭শ প্রতিবন্ধী কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা পেতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছে

যশোর জেলা

যশোর শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়ার বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী শাহানাজ পারভীন মিনা। কথা বলতে না পারায় তার জীবন সংগ্রামই আলাদা। সেখানে বয়ঃসন্ধিকাল ও এর পরিচর্যা সম্পর্কে তার ধারণা না থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ‘কিশোরী প্রজেক্ট’ তাকে কৈশরকালীন প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা শিক্ষা দিয়েছেন। এখন তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে স্বাস্থাসেবা নেন। শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলার কিশোরী প্রতিবন্ধী শম্পা দে।

তিনিও নিরাপদ প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, গর্ভধারণ বিষয়ে অবগত হয়েছেন। আগে অজ্ঞতা ও লোকলজ্জায় সবকিছু লুকালেও এখন তারা সচেতন। শুধু তারাই নয়, যশোরের ৯০ ভাগ প্রতিবন্ধী কিশোরী বয়ঃসন্ধিকালে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার ও নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে এখন সচেতন। বুধবার দুপুরে যশোরের বাঁচতে শেখা মিলনায়তনে ডিআরআরএ’র কিশোরী প্রকল্পের বেস্ট প্র্যাকটিস শেয়ারিং মিটিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার কওসার বিন সিদ্দিক জানান, যশোরে কিশোর প্রতিবন্ধী আছে ৭৬০ জন। তিন বছর আগে মাত্র ১৯ শতাংশ প্রতিবন্ধী কিশোরীর গর্ভধারণ বিষয়ে ধারণা ছিল। প্রেগনেন্সি চেকআপ বিষয়ে ২২ শতাংশ কিশোরী ও তার পরিবারের ধারণা ছিল। গর্ভধারণের মধ্যে কোন জটিলতা হলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে ধারণা ছিল ১৭ শতাংশের।

আরো পড়ুন :
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভয়নগর শুভসংঘের শপথ
চৌগাছায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ

কিশোরী প্রকল্পের মাধ্যমে যশোরে ১২ জন মাস্টার ট্রেইনার নিযুক্ত করে তিনটি গ্রুপের মাধ্যমে তাদের সচেতনা সৃষ্টি করা হয়। এখন প্রায় সবাই কমবেশি স্বাস্থ্যসচেতন। আর ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কিশোরী কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, গর্ভধারণসহ সবধরনের সুরক্ষায় কাজ করতে হবে। এজন্য জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, প্রতিবন্ধী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়কে সচেষ্ট থাকতে হবে।

বক্তব্য রাখেন জেলা পরিবাব পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শবনাম মমতাজ রোজী, জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক অসীত কুমার সাহা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান, বাঁচতে শেখার নির্বাহী পরিচালক ড. অ্যাঞ্জেলা গোমেজ, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিন, কিশোরী প্রকল্পের সমন্বয়কারী রিনা দাস।

ডিসেম্বর ২৯.২০২১ at ২১:২০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শজ/রারি