কিশোরগঞ্জের পাগলা মস‌জি‌দের দানবাক্সে ১২ বস্তা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার

ঐতিহ্যের ধারক-বাহক কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। ২৫০ বছরের প্রাচীন এ মসজিদটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এখনও। মুসলিম-অমুসলিম সবাই এ মসজিদে দুই হাত খুলে দান করেন। কারণ, মানুষের বিশ্বাস- একনিষ্ঠ মনে এখানে মানত বা দান করলে রোগ-শোক, বালা-মসিবত দূর হয়।  দানবাক্স খুললেই পাওয়া যায়- স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা, অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী।

এবার পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এ সময় ১২ বস্তা টাকা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির উপস্থিতিতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে এ বাক্সগুলো খোলা হয়।

জানা গেছে, এ দানবাক্স থেকে প্রায় ১২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। বস্তাগুলো থেকে টাকা ঢেলে মসজিদের দোতলায় চলছে গণনার কাজ। পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্সের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনা করছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মোস্তফা জানান, সারা দিন গণনা শেষে বিকেলে নাগাদ টাকার পরিমাণ জানা যাবে।  নগদ ১২ বস্তা টাকা ছাড়াও পাওয়া গেছে, চাল, ডাল গাবাদিপশু আর হাঁস-মুরগি। এ সময় পণ্য নিলামে বিক্রি করে জমা করা হবে মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

আরো পড়ুন:
বগুড়া কাহালুতে ৫০ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন
মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব মুহাম্মদ: শামসুল ইসলাম সাদিক

পরবর্তীতে মসজিদের আয় থে‌কে নিজস্ব খরচ মি‌টি‌য়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসা এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়।

জানা গেছে, পাগলবেশী এক সাধু পুরুষ নরসুন্দা নদীর মাঝখা‌নে পা‌নি‌তে মাদুর পে‌তে আশ্রয় নেন। তার মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। প‌রে পাগলা মসজিদ নামে পরিচি‌তি এ‌ মস‌জিদটি।

নভেম্বর ০৬.২০২১ at ১২:১৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ