যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের প্রতি দেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্যালেস থেকে ভিডিও কনফরেন্সিংয়ের মাধ্যমে হোটেল মেরিয়েট মারকুস নিউইয়র্ক প্রন্তে যুক্তরাষ্ট্র বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটি আয়োজিত সংবর্ধনা অননুষ্ঠানে আংশগ্রহণ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি একটা কথা বলব, আমাদের প্রবাসী যারা তারা কিন্তু বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ করতে পারেন। শুধু আমেরিকাই করবে তা না, আমাদের প্রবাসী আমেরিকানরা যতদূর পারেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার পর রাতে নিউ ইয়র্কের ম্যারিয়ট হোটেলে প্রবাসীদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশের তৈরি নানান সুযোগ-সুবিধার কথা জানান। সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথাও বলেন তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপও প্রবাসীদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পত্রিকা শুধু নেতিবাচক কথা লিখবে, আর ভালো কথা লিখবে না, সেটা তো হয় না। পত্রিকা অপবাদ ছড়াবে শুধু, আর কনস্ট্রাকটিভ কথা বা বেশিরভাগ লোকজনই ভালো, সেই কথা বলবে না, সেটা তো হয় না। কাজেই দায়িত্বশীলতাটা সবদিক থেকে সবার সমানভাবে থাকা লাগবে। খেয়াল রাখতে হবে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত যেন না করা না হয়, সেদিকে গণমাধ্যমকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনো বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। যাদের উত্থান অবৈধ, তাদের মুখে অবৈধ সরকার ও গণতন্ত্রের কথা মানায় না। বিএনপির অগণতান্ত্রিক নির্বাচন ক্ষমতা দখলের ইতিহাস নিজেরাই ভুলে গেছে। জনগণ বিএনপির পাশে থাকলে তাদের আন্দোলন করে জনগণ দূর করতো না। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অংশগ্রহণ ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের হয়ে।

তিনি বলেন, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়া হচ্ছে জিয়া পরিবারের কাজ। তাদের আমলেই দেশ প্রেমিক ও মেধাবীদের হত্যা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধিবেশনে তার দেওয়া এটি ১৭তম ভাষণ।