বগুড়ার শিবগঞ্জে সেনা সদস্য কর্তৃক কৌশলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে ২০ দিন যাবৎ লাপাত্তা হয়েছে। ধর্ষক সেনা সদস্যর নাম সোহেল রানা (২৪)। সে উপজেলার চাঁদনিয়া শিবগঞ্জ গ্রামের মো. লব’র পুত্র। মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, সে রংপুর সেনানিবাসে সাধারণ সৈনিক পদে কর্মরত আছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ সঠিক আইনী অধিকার পেতে লম্পট ঐ সেনা সদস্যর বিরুদ্ধে গত ১সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং-২। মামলা দায়ের পর গ্রেফতারের ভয়ে ধর্ষক ২০ দিন যাবত লাপাত্তা রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক সোহেল রানা সুযোগ পেলেই ঐ গৃহবধূকে বিভিন্ন উপায়ে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। গৃহবধূ তাতে পাত্তা দিতোনা। গত ২৩ আগষ্ট বিকেলে ঐ গৃহবধূ ব্যক্তিগত কাজে শিবগঞ্জের নিমতলা এলাকার অঙ্গসাজ টেইলার্স এর সামনে আসলে পূর্ব হতে ওত পেতে থাকা সেনা সদস্য সেহেল রানা জোরপূর্বক ঐ গৃহবধূকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে উপজেলার রায়নগর এলাকার এক আত্মীয়’র বাড়িতে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে কৌশলে শিবগঞ্জ পৌরসভার সামনে গৃহবধূকে ফেলে সেনা সদস্য লাপাত্তা হয়ে যায়।
ধর্ষক সেনা সদস্য সোহেল রানার সাথে কথা বলার জন্য বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে তার পরিবারের লোকজনও কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা জানান, আমরা গরীব ও অসহায় মানুষ। যে আমার মেয়ের ক্ষতি করেছে সমাজ এবং আইন কি তার বিচার করবে! আমার মেয়ের কিছু হলে তার দায় দায়িত্ব কে নিবে। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আসামী সেনাবাহিনীতে চাকুরী করে শুনেছি। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সেপ্টেম্বর ১৩.২০২১ at ১৫:৩০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রইর/রারি