কাজিপুরে বন্যার স্রোতে ১টি ব্রিজ ধসে পড়েছে, অন্য একটি ঝুঁকিতে

চলমান বন্যায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের মনসুর নগর ইউনিয়নে মাজনাবাড়ী গ্ৰামে দুইটি ব্রিজের ১ টি বন্যার পানির প্রবল স্রোতে ধসে পড়েছে, অপরটি ঝুঁকিতে রয়েছে। ধস ঠেকানোর সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল।

গত বুধবার ওই সেতুটির পাশে ধস নামে। তিনদিন যাবৎ ধসে যাওয়া স্থানে জিওব্যাগ ও বাঁশের বেড়া তৈরি করে সেতুটি রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু যমুনার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্রমান্বয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে সেতুটি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেতুটির ধস নামা অংশে প্রবল প্রবাহের কারণে মাটি সড়ে যায়।

এতে করে সেতুর অপর পাশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে সেতুটির পাশের প্রায় দেড়শ মিটার রাস্তাসহ সেতুর গাইড ওয়াল পানিতে ভেসে গেছে। একপাশে হেলে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ধসে যাওয়া স্থান দিয়ে প্রচন্ড বেগে পানি প্রবেশ করছে অপর পাশে।

গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তটি ধসে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে মাজনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ প্রায় দশ গ্রামের মানুষ। এলজিইডির নির্মিত ওই সেতুটি ধসে যাওয়ায় মনসুরনগর থেকে চরগিরিশ ইউনিয়নের স্থলপথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উত্তর কুমারিয়াবাড়ী,দক্ষিণ কুমারিয়া বাড়ী, শালগ্রামসহ দশ গ্রামের মানুষের চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।

শুক্রবার ভোর রাতে বন্যার পানির প্রবল স্রোতের চাপে মাজনাবাড়ি স্কুলের দক্ষিণ পাশে এল জি ইডির নির্মিত ব্রীজটি ধসে গেছে এবং একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মাস্টারের বাড়ির কাছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্মিত ব্রীজটি ঝুঁকিতে রয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক ছাত্রলীগের নেতা আব্দুল আওয়াল লেবু সরকার ও স্থানীয় বাসিন্দা বিটল সরকার, জহুরুল ও ফরিদুল ইসলাম।

এদিকে একই রাস্তায় ধসে যাওয়া সেতু হতে এক কিলোমিটার পূূর্বদিকে একই রাস্তায় রসুলের বাড়ী সংলগ্ন পাকা রাস্তায় আরও একটি সেতুর দুই পাশে ধসে গিয়েছে। সেতুর পাশের রসুল মিয়ার বাড়িটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

এ দিকে মাজনাবাড়ী, চরছিন্না, চরগিরিশ, ভেটুয়া, ছালাল, শালদহ যমুনা বাজার থেকে পুরাতন বাজার পযর্ন্ত রাস্তা সহ বিভিন্ন বন্যার পানিতে ধসে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

এ কারণে চরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ধসে যাওয়া ব্রীজ সহ সকল ব্রীজ, ভেঙ্গে পড়া রাস্তায় বস্তা ফেলার কাজ গতকাল বৃহঃপ্রতিবার পরিদর্শন করেন কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী।