বগুড়ায় হু হু করে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি

বগুড়ার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। পানিবন্দি হয়েছে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। অনেকে নিকটবর্তী বাঁধ এবং বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

(২সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার সেখান থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭ দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘন্টায় সারিয়াকান্দির মথুরাপুর হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বন্যা মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার পক্ষ থেকে। প্রতি মুহুর্তে যমুনা নদীর বাঁধ পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে যাতে করে বড় ধরনের বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হয়।

যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সারিয়াকান্দির, হাটশেরপুর, চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী, কামালপুর, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, বোহাইল, সদর, নারচী, ফুলবাড়ী, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানি প্রবেশ করায় বেশ কিছু পরিবারের সদস্যরা তাদের গৃহস্থালি সামগ্রী ও গবাদিপশু নিয়ে পার্শ্ববর্তী উঁচু জায়গা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। মানুষজন এখন কোনমত খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। বেশি হিমশিম খেতে হচ্ছে গো-খাদ্য যোগান দিতে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ফলে অভাব দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের।

আরো পড়ুন :
চাকরি দেয়ার কথা বলে ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ
প্রেসক্লাবের স্থাপনা উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

এইদিকে সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম সাথে কথা বললে তিনি জানান, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ফলে উপজেলার মাসকালাই, রোপা-আমন, বীজতলা ও সবজিসহ ১৭৭ হেক্টর ফসলের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এর পরিমাণ আরো বাড়বে।

সেপ্টেম্বর  ০২.২০২১ at ১৮:৫৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রাইর/রারি