পৌর মেয়রের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ব্রম্মকাটি গ্রামের মৃত রফিকুজ্জামানের পূত্র খন্দকার মফিদুল ইসলামকর্তৃক পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, যশোর জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর মফিজুর রহমান খান এবং যুবলীগনেতা আলমগীর সিদ্দিক টিটোর নামে আদালতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন চাঁদাবাজীর মামলা করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে যশোর জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর মফিজুর রহমান খান বলেন, ব্রম্মকাটি গ্রামের মৃত রফিকুজ্জামানের পূত্র খন্দকার মফিদুল ইসলাম গত ১৭ আগস্ট তারিখে যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কেশবপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, যুবলীগনেতা আলমগীর সিদ্দিক টিটো ও আমার নামে একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেছে। আমরা আদৌ খন্দকার মফিদুল ইসলামের নিকটে কোন চাঁদা চায়নি এবং কোন চাঁদার টাকা গ্রহণ করিনি।

প্রকৃত পক্ষে যশোরের ইন্তাজ আলী ১০/১২ বছর যাবৎ কেশবপুরে ক্যাবেল নেটওয়ার্কের ব্যাবসা করে আসছে। খন্দকার মফিদুল ইসলাম ৪ বছর পূর্বে ইন্তাজ আলীর নিকট থেকে জোর পূর্বক ব্রম্মকাটি ও রামচন্দ্রপুর এলাকার ক্যাবেল নেটওয়ার্কের ব্যাবসা দখল করে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আকবর আলী খাঁর পূত্র নজরুল ইসলামের নিকট ৩ বছরের লিজ দেয়। ৩ বছরের মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তিতে খন্দকার মফিদুল ইসলাম নজরুল ইসলামকে আরো ৩ বছরের জন্য স্টাম্পে লিখিত ভাবে লিজ দেয়। অথচ ৩ বছরের মেয়াদ শেষ না হতেই কোন প্রকার পাওনা না মিটিয়ে ৬ মাসের মাথায় খন্দকার মফিদুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের জয়নাল দফাদারের পূত্র শাহীন আলমের নিকট বিক্রি করে দেয়।

আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে এনজিও কর্মীদের অত্যাচার, জেলা প্রশাসকের দারস্ত হলেন ভুন্তভোগীরা
প্রতিদিন বাড়ছে পদ্মার পানি, আতংকে পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা

এব্যাপরে তার পাওনা আদায়ের জন্য নজরুল ইসলাম স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আব্দুল হালিম মোড়লের পরামর্শে পৌরসভায় লিখিত আকারে দরখাস্ত করেন। পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বিষয়টি আমলে এনে উভায় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন। খন্দকার মফিদুল ইসলাম নোটিশের নির্ধারিত তারিখে পৌরসভায় হাজির না হয়ে শহরের ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যাবসায়ী নিবাস সাহার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে বসে খন্দকার মফিদুল ইসলাম শাহীন আলমের নিকট থেকে ফেরত নিয়ে পূর্বের লিজ দাতা নজরুল ইসলামের নিকট বিক্রি করে দেয়। উল্লেখিত কর্মকান্ডে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম,আলমগীর সিদ্দিক টিটু ও আমার কোন সংযোগ নেই। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য খন্দকার মফিদুল ইসলাম আমাদের নামে আদালতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেছে। যেটা দৈনিক গ্রামের কাগজ, দৈনিক প্রতিদিনের কথা ও দৈনিক যুগাস্তর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। মামলায় ব্যাবস্য প্রতিষ্ঠানের ভাংচুরের উল্লেখ করা হলেও প্রকৃত পক্ষে খন্দকার মফিদুল ইসলামের আদৌ কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নেই।

অথচ খন্দকার মফিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসংখ্য অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। যেটা আড়াল করতে এবং আমাদেরকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে খন্দকার মফিদুল ইসলাম আদালতে উক্ত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন চাঁদাবাজীর মামলা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত রহস্য বের করার জন্য প্রশাসনের প্রতি যশোর জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর মফিজুর রহমান খান আহ্বান জানান।

আগস্ট ১৯.২০২১ at ২১:৩৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এআস/ জআ