রাজশাহীতে হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখর কামার পাড়া

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারা। ঘামছে কামার, পুড়ছে লোহা; তৈরি হচ্ছে ছুরি-বঁটি-দা। তাই ভাঁতির ফাঁসফুস আর হাতুড়ি পেটার টুং টাং শব্দে মুখর কামারশালাগুলো।

গত সপ্তাহখানেক ধরে এমন ব্যস্ততা বেড়েছে রাজশাহী মহানগরীসহ কাঁটাখালী পৌরসভা ও উপজেলার একাধিক কামারের দোকানে। তবে করোনাকালে ক্রেতা সমাগম না থাকায় কামারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার অধিকাংশ বাজারে কর্মকাররা পশুর মাংস কাটাকাটি আর চামড়া ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত, ছুরি, বঁটি, চাকু ও দাসহ কিছু ধারালো জিনিস তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা । দিবা-রাত লোহা পিটিয়ে ধারালো অস্ত্র সামগ্রী তৈরিতে দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না। তবে এসব অস্ত্র তৈরিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। সেকেলে পুরনো নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো মাংসকর্তন সামগ্রী তৈরির কাজ।

এ ক্ষেত্রে লোহার মানভেদে স্প্রিং লোহা ৫০০ টাকা ও নরমাল ৩০০ টাকা। পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১৫০-২০০ টাকা, ২৫০-৩০০ টাকা, বঁটি সাড়ে ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০-১০০০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় বলে জানান কামাররা। এ ছাড়া বিভিন্ন সাইজের, ছুরি লোহার ওজনের ওপর ভিত্তি করেও বিক্রি করা হচ্ছে। ছোট ছুরি থেকে শুরু করে বড় ছুরি, ধামায় শান দেওয়ার জন্য কাজের গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে ৪০-১৮০ টাকা পর্যন্ত, ছুরি ৫০-৮০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন:
লকডাউন শিথিলের আগেই সড়ক পুরোপুরি স্বাভাবিক
আশুলিয়ায় ঘরে ঢুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ

কোরবানির পশুর কাটার জন্য কাঁটাখালি বাজারে দা, ছুরি মেরামত করতে আসা আবু হেনা মোস্তফা জামান বলেন, করোনা মহামারীর কারনে কামারদের কাছে ক্রেতা কাস্টমার সমাগম আগের ঈদের তুলনায় অনেক কম। আর তাই কামাররা মেরামতি কাজের মূল্য বেশি নিচ্ছেন। তবে তার কেন অভিযোগ নাই।

জুলাই, ১৩.২০২১ at ১৮:৪৪:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর