যশোর ছাত্রলীগের উদ্দ্যেগে শেখ রাসেল অক্সিজেন ব্যাংকের হট লাইন চালু

যশোরে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। আতঙ্কে দিন কাটছে যশোরবাসীর। সংক্রমনের হার ঠেকাতে সরকারি বিধি নিষেধ যথাযথ বাস্তবায়নে দিনরাত কাজ করে চলেছে জেলা প্রশাসন। যশোরের করোনা সংশ্লিষ্ট সকল হাসপাতালে রোগীর পর্যাপ্ত চাপ। হিমশিম খাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও চিকিৎসাসহ সংশ্লিষ্টগণ। তবে, শেখ রাসেল অক্সিজেন ব্যাংকের হট লাইন চালু করে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছেন যশোর জেলা ছাত্রলীগ। সাধারণ জনগণের মধ্যে ছাত্রলীগের উদ্যেগে অক্সিজেন ব্যাংক চালু করায় কিছুটা হলেও ফিরেছে স্বস্তি। ছাত্রলীগের ২৫ জন ভলেন্টিয়ার ২৪ ঘণ্টায় হট লাইনের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

শুক্রবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়েছে। যশোর জেলা ছাত্রলীগের তত্ত্বাবধায়নে আওয়ামী লীগের জেলা অফিস থেকে ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের সহযোগিতায় যশোরে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উদ্দ্যেগে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন।

অক্সিজেন ব্যাংক উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস, সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রিয়েল, যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাজাদ জাহান দিহান, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন রাসেলসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব জানান, যশোরে করোনায় আক্রান্তদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের উদ্যোগে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শেখ রাসেল অক্সিজেন ব্যাংক চালু করা হয়েছে। তাদের হটলাইন ০১৯১২৩৩১২৭৪ ও ০১৭২১৪০৪৯৫০ মোবাইল নম্বরে কল দিলে বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেয়া হবে। ২৪ ঘণ্টায় তাদের হটলাইন চালু থাকবে। জরুরী প্রয়োজনে সব সময় তাদের হটলাইনে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। ২৫ জন ভলেন্টিয়ার এ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। যারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

তিনি আরও বলেন, হটলাইনে কল দিলে রোগীর নাম ও ঠিকনা রেজিস্টারে তালিকাভুক্ত করার পর দ্রুতই অক্সিজেন বাড়িয়ে পৌছে দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ৪০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ব্যাংকের যাত্রা শুরু করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে সিলিন্ডারের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।