শিবগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে গোপনে বিয়ে করায় সালিশ বৈঠকে গ্রামছাড়ার নির্দেশ

বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে গোপনে বিয়ে করার খবর প্রকাশ হওয়ায় সালিশ বৈঠকে তাদের উভয়কে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন গ্রামের মাতব্বররা। ঘটনার শিকার ওই নব দম্পতি সম্পর্কে প্রতিবেশী দেবর ও ভাবী।

এলাকাবাসীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার বেড়াবালা অর্জুনপুর গ্রামের ধলু মিয়ার ছেলে রেজাউল ইসলাম কয়েক বছর আগে জীবন জীবিকা নির্বাহ করার তাগিদে মালোয়েশিয়ায় গমণ করেন। রেজাউল দেশে না থাকার সুযোগে তার স্ত্রী দুই সন্তানের মা খায়রুন (৪০) প্রতিবেশী দেবর মোজাহার ওরফে মোজার ছেলে সিএনজি চালক আলী আকবর মিল্টন (২৪) এর সাথে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে।

অবৈধ সম্পর্ককে বৈধ করার জন্য ওই নারী এক বছর আগে তার প্রথম স্বামী রেজাউলকে ডিভোর্স দেয়। পরে প্রতিবেশী দেবর মিল্টনকে গোপনে বিয়ে করে। তাদের বিয়ের বিষয়টি তারা দীর্ঘ প্রায় এক বছর গোপনে রাখে। অবশেষে গত ২৫ জুন রাতে খায়রুন বেগম প্রতিবেশী দেবর নতুন স্বামী মিলটন এর বাড়িতে স্ত্রীর দাবী নিয়ে উঠে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার শত শত নারী পুরুষ নতুন দম্পতি (দেবর-ভাবী) কে দেখতে ভীড় জমায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতব্বররা আজ ২৬ জুন শনিবার সকালে এক গ্রাম্য সালিশ ডাকে।

ওই সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মিল্টন ও খায়রন সূর্যাস্তের আগে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। কোনভাবেই তারা মিল্টন কিংবা রেজাউলের বাড়িতে উঠতে পারবে না। এ সিদ্ধান্ত না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মাতব্বরা হুশিয়ারী দেন। সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুপুরেই নতুন এ দম্পতি গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যায়। তবে তারা কোথায় গিয়ে অবস্থান নিয়েছে তা জানা যায়নি।

আরো পড়ুন:
দুধের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ
শিশু ভাইকে বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বোনের আকুতি

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদ হোসেন ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, ঘটনাটি তিনি জানেন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ওলেদা বেগম বলেন, শালিশ চলাকালীন সময়ে মিল্টন এর পিতা, ছেলে ও নবপুত্রবধুকে বাড়িতে উঠতে না দেওয়ায় এবং তিনি বিষয়টি শালিসদারগনের উপর ভার দিলে সামাজিক ভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শালিসের মাধ্যমে তাদেরকে গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে এমন কথা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে তিনি জানলেন। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।