করোনার প্রথম থেকেই মানুষের পাশে আছেন জেলা পরিষদ সদস্য সাহানা আক্তার

যশোরে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচারভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা মহিলা লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ থেকে নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাহানা আক্তার। তিনি প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে করোনা সংক্রমণ কমাতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

মানুষের মাঝে মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিজাইটারসহ করোনা প্রতিরোধক উপকরণ হিসেবে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছেন। শনিবার (২৬ জুন) ঝিকরগাছার হাজীর আলী মোড়ে করোনা প্রতিরোধক সামগ্রী বিতরণ করেন। সাহানা আক্তার ঝিকরগাছা উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, মানবধিকারের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সুজন ও লোকমোর্চার নির্বাহী সদস্য। তাই সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আগ্রহটাও তার বেশি। সাধ্যমত তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার একটি পৌরসভা ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে যশোর জেলা পরিষদের এক নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড গঠিত। ঝিকরগাছা উপজেলার মধ্যে রয়েছে ঝিকরগাছা পৌরসভা, ঝিকরগাছা ইউনিয়ন, পানিসারা ইউনিয়ন, নির্বাসখোলা ইউনিয়ন, হাজিরবাগ ইউনিয়ন,গদখালি ইউনিয়ন, নাভারণ ইউনিয়ন ও শংকরপুর ইউনিয়ন। শার্শা উপজেলার মধ্যে রয়েছে শার্শা ইউনিয়ন, উলসী ইউনিয়ন, কায়বা ইউনিয়ন, উঠখালী ইউনিয়ন, গোগা ইউনিয়ন, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন, নিজামপুর ইউনিয়ন, লক্ষণপুর ইউনিয়ন ও ডিহি ইউনিয়ন।

এক নম্বর মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কয়েক লাখ মানুষের বসবাস। ২০২০ সালে মার্চ মাসে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ধাপ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সাবান, মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিজাইটার নিয়ে মাঠে নামেন সাহানা আক্তার। এখনো পর্যন্ত তিনি সচেতনতামূলক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। ঝিকরগাছা পৌরসভাসহ ২০টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে, বাজারে ও মোড়ে মোড়ে এ কার্যক্রম চালান।

মানুষকে বোঝান, সুস্থ থাকতে হলে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। কোভিড টিকা গ্রহণ করতেও তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন। টিকা সর্ম্পকে সকল ধরণের গুজবে কান দেয়ার আহবান জানান। এ যাবতকাল পর্যন্ত তিনি নিজস্ব অর্থায়নে ১৫ হাজারের কাছাকাছি শুধু মাস্কই বিতরণ করেছেন। হাজারের উপরে কর্মহীন ও ঘরবন্দী মানুষকে ত্রার্ণ দিয়েছেন। তার এই মহতি কাজে ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলায় ব্যাপক প্রশংসা হচ্ছে। তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। দলমত, জাতি, ধর্ম নিবিশেষে সবার ভালবাসা ও ভক্তি অর্জন করেছেন।

ঝিকরগাছা বাজারের হোটেল শ্রমিক নুর মিয়া বলেন, করোনার প্রথমধাপে যখন কাজ বন্ধ ছিল সাহানা আপাই তার পাশে ছিলেন। তিনি নিয়মিত ত্রার্ণ না দিলে না খেয়ে থাকতে হতো। তাছাড়া মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য তিনি নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

শার্শা ইউনিয়নের রহিম বক্স বলেন, তিনি পোশাক শ্রমিক। করোনার প্রথমধাপে তিনি কর্মহীন হয়ে পড়ে পড়েন। তার সংসার চালানোর মত অবস্থা ছিল না । সাহানা আপা ত্রার্ণ দিয়ে তার সংসারের হাল ধরেন। সাহানা আপার এ উপকার কখনো ভুলার মত নয়। আল্লাহর কাছে দোয়া করি সাহানা আপাকে ভাল রাখুন। সাহানা আপাকে আরো মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ তৈরী করে দিন। এ রকম কয়েক শত শত মানুষ শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সাথে সাহানা আক্তারকে স্মরণ করেন।

আরো পড়ুন:
মাদারীপুরে করোনায় আক্রান্তের হার ৫০ ভাগেরও বেশি
সুনামগঞ্জে চার সাংবাদিককে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ

সাহানা আক্তার বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রথমধাপ থেকে সাধারণ মানুষের পাশে আছি। মাস্ক, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিজাইটার বিতরণ করছি। নিয়মিত এসব সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের জন্য মানুষকে আহবান জানাচ্ছি। প্রথমধাপে সাধ্যমত ত্রার্ণ দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মাঠে আছি। কাজ করে যাচ্ছি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শেখ হাসিনার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করে যাবো।