সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন নবীগঞ্জে গৃহবধু

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আজলপুর গ্রামে শনিবার বিকালে স্বামীর ধারালা অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রী ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংখাজনক ভাবে তাকে সিলেট এম.এ. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। তার অবস্থা আশংখ্যাজনক বলে জানা গছে। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসির নির্দের্শে পুলিশ হাসপাতালে আহত গৃহবধুকে দেখতে ছুটে যান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্বামী ছালাম মিয়াকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজলার আউশকান্দি ইউনিয়নের আজলপুর গ্রামের ছালাম মিয়া দীর্ঘদিন পুর্বে একই উপজেলার বাদে রায়ঘর গ্রামের মৌসুমি আক্তারকে বিবাহ করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩টি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে কারনে অকারণে স্বামী ছালাম মিয়া প্রায়ই তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তারকে মারপিট করত। এ বিষয় একাধিকবার শালিস বৈঠক করেন স্থানীয় মুরুবীয়ান।

এরই দ্বারাবাহিকতায় শনিবার বিকালে অজ্ঞাত কারনে স্বামী ছালাম মিয়া তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (৩০)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয় গুরুতর জখম করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণ রক্ষার্থে মৌসুমি পাশে বাড়িতে আশ্রয় নিতে যাওয়ার পথে উঠানে যাওয়া মাত্রই মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় তার মাথা থেকে প্রচুর পরিমান রক্তপাত দেখে স্থানীয় লোকজন দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন। তার অবস্থা আশংখা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। স্বামীর আঘাতে গৃহবধু মত্যু পথযাত্রী হওয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাব নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ নির্দেশে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠান এবং অপর একদল পুলিশ হাসপাতালে আহত মৌসুমির খোজঁ নেন। আহত গৃহবধু গুরুতর হওয়ায় ঘটনাকারী স্বামী ছালাম মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

আরো পড়ুন:
টিকটক হৃদয়ের নারী পাচারের নেটওয়ার্ক ভারত হয়ে দুবাই পর্যন্ত

এ ব্যাপার স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রায়ই স্বামী ছালাম মিয়া কর্তৃক স্ত্রী মৌসুমিকে মারপিট করতো। ছালাম তেমন কোন কাজকাম করতে দেখা যায় না। তবে শনিবার বিকালে কি কারনে তার স্ত্রীকে নির্মমভাবে আঘাত করেছে তার সঠিক কোন কারন তিনি জানেন না।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ ডালিম আহমদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আহতের স্বামী ছালাম মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয়ছে। আহত স্ত্রীর সার্বিক অবস্থা পর্যবক্ষন করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।