রাজশাহীতে মাদক কারবারসহ নানা অপকর্মের হোতা পঞ্চবটির মামুন

সরকারী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক কারবারসহ নানা অপকর্মের হোতা পঞ্চবটির মামুনুর রশিদ মামুন। তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) কর্মচারী। বাড়ি মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধিন পঞ্চবটি এলাকায়।

অভিযোগ উঠেছে, পঞ্চবটি এলাকার নবীর মেয়ে একাধিক মাদক মামলার আসামী ফুচো ও কাননী। আর নজুর মেয়ে মুন্নি। এসকল মাদক কারবারীদের সহযোগী মুন্নির স্বামী জনিসহ ৫/৬ জন রয়েছে। আর এদের সকলেরই নেতা মামুন। মাদক কারবারীদের মাদক নিজ হেফাজতে রাখে মামুন। পরে তা খুচরা মাদক কারবারীদের কাছে পাইকারী মূল্যে বিক্রি করে থাকে।

স্থানীয়রা জানায়, মাদক কারবারীদের মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তারা বোয়ালিয়া থানার এসআই উত্তমকে দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। বস্তবেও ঘটেছে তাই। মামুন ওথবা মুন্নি উত্তমকে ফোন দিলেই রাত যতই হোক পঞ্চবটি এলাকায় হাজির হন এসআই উত্তম। এর আগে মাদক কারবার বন্ধের জন্য প্রতিবাদ করায় মো. সজল শেখ জিবন নামের এক যুবককে ধরে নিয়ে যায় উত্তম। পরে তাকে ছিনতাই মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ওই যুবক একজন ব্যবসায়ী। তার পঞ্চবটি এলাকায় ভাই-বোন কনফেকশনারী এবং জন গ্যাস বিতান নামের একটি হোম সার্ভিসের ব্যবসা রয়েছে।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, একাধিক মাদক মামলার আসামী ফুচো ও কাননী। আর নজুর মেয়ে মুন্নি দিন রাত ২৪ ঘন্টাই চারায় মাদকের রমরমা কারবার। বিক্রি করে গাঁজা, হেরোইন ও মরননেশা ইয়াবা।

মাদকের কারবার টিকিয়ে রাখতে ছাগল কেটে দাওয়াত খাওয়ায় এসআই উত্তম ও তার সহকর্মীদের। এসআই উত্তম আর মামুন পঞ্চবটি এলাকার মাদক কারবারীদের মূল সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেন স্থানীয়রা।

চাঁদাবাজি, শিক্ষা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, শিশু ভাতা এগুলো দেয়ার নামে অসহায় গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে এই মামুনের বিরুদ্ধে। নগরীর পঞ্চপট্টি এলাকার আলহাজ্ব রানা নামের এক ব্যক্তির মেয়েকে কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নেয় মামুন। কিন্তু ভর্তি করতে ব্যার্থ হয় সে। টাকা ফেরত চাওয়ায় মেয়ের বাবাকে হুমকি দেয় মামুন। তবে শেষ পর্যন্ত টাকা ফেরত দেয়নি। এছাড়াও সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে পদ্মা নদী থেকে মা ইলিশ ধরে মামুন। এর আগে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে জরিমানা করেন। আর এ সকল অপকর্ম করেই এক সময়ের রাস্তার বাদাম বিক্রেতা মামুনুর রশিদ মামুন এখন কোটি পতি।

জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই উত্তম জানান, আমি পঞ্চবটি এলাকার কোন মাদক কারবারীদের সহযোগীতা করিনা। এছাড়া সকল অভিযোগ অস্বিকার করেন তিনি।

জানতে চাইলে রুয়েট কর্মচারী পঞ্চবটি এলাকার মামুনুর রশিদ মামুন জানান, আমি মাদক কারবারীদের সহযোগীতা করিনা। পঞ্চবটি এলাকার মাদকে ভাসছে। তবে সহযোগীতা করার লোক নাই। তবে মুন্নিরা আমার আত্মিয়। এক প্রশ্নে জবাবে মামুন বলেন, আর এসআই উত্তম ভালো মানুষ। তার সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক বলেও জানান তিনি।