চুক্তিতেই প্রাইভেট কার ব্যবহার করছেন ডা. শারমিন সুলতানা, এএসপি আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা

চুক্তিতেই ভাড়ায় প্রাইভেট কার ব্যবহার করছেন এএসপি আরিফুলের স্ত্রী ডা. শারমিন সুলতানা। এএসপি আরিফুরের চেয়ারে না থাকার কারণে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা চালানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, ডা. শারমিন সুলতানা টিএমএসএস রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারী থেকে এক বছরের জন্য শিবগঞ্জের দাড়িদহ বন্দরের এসএ ক্যাবল নেটওয়ার্ক এর স্বত্বাধিকারী রেন্ট এ কার ব্যবসায়ী মো. রাসেল মাহমুদ সবুজের সাথে প্রাইভেট কার ভাড়ায় চুক্তি নেন। উভয় পক্ষের মধ্যে এসংক্রান্ত একটি চুক্তিনামা স্বাক্ষর হয়।

৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত হন কৃষকলীগ নেতা আজহারুল ইসলাম নান্টু (৩৫)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল বাছেদ মন্ডল বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-১০ তারিখ- ১০-০২-২১)। মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়।

পরবর্তীতে হত্যা মামলাটি একবার সি আই ডি তে হস্তান্তর হয়, কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় সি আই ডি থেকে মামলাটি শিবগঞ্জ থানায় ফেরত আসে। সর্বশেষ মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর হয়।

অভিযোগ উঠেছে এই হত্যা মামলার ৩নং আসামি রাসেল মাহমুদ সবুজকে মামলায় সুবিধা দেওয়া কথা বলে তার কাছে থেকে গাড়ি ব্যবহারে সুবিধা নিচ্ছেন এএসপি আরিফুর ইসলাম সিদ্দিকীর স্ত্রী ডা. শারমিন সুলতানা।

এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট উল্লেখ করে ডা. শারমিন সুলতানা বলেন, গাড়ির চুক্তিটি হয় চলতি বছরের পহেলা জানুযারীতে আর হত্যা মামলা দায়ের হয় এবছরের ১০ ফেব্রুয়ারীতে। আমি একজন ডাক্তার। আমার নিজস্ব পেশার পরিচয় আছে। আমি কার কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া করব, এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়।

আমার গাড়ি সরবরাহকারীর সাথে আমি ৩০০ টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে ভাড়ায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে গাড়ি ব্যবহার করছি। যিনি আমার গাড়ি সরবরাহকারী, তিনি কোন হত্যা মামলার আসামি কি না, আমার জানা নেই। আর যদি আসামী হয়েও থাকেন, তাহলে সে ব্যক্তির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া যাবেনা এরকম কোন আইনী বাধা নেই। একটি বিশেষ কুচক্রী মহল আমার পরিবারকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরণের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।

মামলার আসামি রাসেল মাহমুদ সবুজ বলেছেন, গাড়িটি মাসিক ২০হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া দেয়া হয়েছে এএসপি আরিফুল ইসলামের স্ত্রী ডা. শারমিন সুলতানাকে। আমি কোন গাড়ি বিক্রি করিনি।

এবিষয়ে শিবগঞ্জের সাবেক সার্কেল এএসপি আরিফুর ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, এখন আমি চেয়ারে নেই। নিন্দুকেরা বিভিন্ন কথাই বলবে। মাসিক ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে বৈধভাবেই আমার স্ত্রী গাড়ি বন্দোবস্ত নিয়েছে।

সচেতন একটি মহল বলছে, অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন এ এসপি আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী। বেনামি বিভিন্ন গায়েবি অভিযোগ করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে।

এপ্রিল ২৮, ২০২১ at ২০:১১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আরআইআর/এমআরএইস