মণিরামপুরে বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট

মণিরামপুর পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নিমে যাওয়ায় ব্যক্তি মালিকানায় স্থাপিত পাড়া-মহল্লার অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। কিছু টিউবওয়েলে স্বল্প পরিমাণে পানি উঠেলেও তা সংগ্রহ করতে গিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলছে। এতে বিশুদ্ধ পানিসহ ব্যবহারিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উপজেলা এলাকার বাসিন্দাদের।

এছাড়াও অকেজো হওয়ার উপক্রম হয়েছে পৌর এলাকায় বেশকিছু টিউবওয়েল (নলকূপ)। নদীতে সেচ পাম্প না বসিয়ে ডিপ পাম্প বসানোর কারণে টিউবওয়েল থেকে পানি উঠছেনা বলে স্থানীয়দের ধারণা।

এসব টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠায় চরম দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন কয়েক হাজার পরিবার। প্রচন্ড খরতাপ, ভ্যাপসা গরম ও পানি সংকটে মণিরামপুরের মানুষের মাঝে নেমে এসেছে অসহনীয় দুর্ভোগ। শনিবার পৌর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মণিরামপুর পৌর শহরের দূর্গাপুর, স্বরুপদাহ, জুড়ানপুর, গাংড়া, মহাদেবপুর, জয়নগর, হাকোবা, তাহেরপুর, মোহনপুর, বিজয়রামপুর ও কামালপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, টিউবয়েলে পানি না ওঠার কারণে পুুকুরের পানি দিয়েই চলছে এসব মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। দু’একটি বাড়িতে ভ্যাটিক্যালযুক্ত টিউবওয়েল থাকলেও সেখানে পানি নেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন জমাচ্ছেন গৃহবধূরা। সামর্থবান অনেকে আবার টিউবওয়েলে পানি পেয়ে সাব-মারসিবল পাম্পের মাধ্যমে পানি তোলার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সেখানেও দেখা গেছে লম্বা লাইন।

দূর্গাপুর গ্রামের গৃহবধূ মিনা খাতুন, বিলকিস বেগম, নাজমা বেগম, রহিমা বেগম ও আকলিমা বেগম বলেন, পানির অপর নাম জীবন, সেই জীবনের ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। তানা হলে আমরা অল্প আয়ের মানুষ কেমন করে বাঁচবো? আমাদের তো ভ্যাটিক্যাল বসানোর টাকা নেই।

দূর্গাপুর-স্বরুপদাহ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আদম আলী বলেন, ওয়ার্ডে কয়েকটি গ্রামে কম-বেশি পানি সমস্যা দেখা দিয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা হবে।

স্থানীয়রা প্রায় প্রতিদিনই নলকূপ থেকে পানি ওঠানোর জন্য নতুন করে মাটি খোড়াসহ নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। তবুও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। তবে কিছু কিছু এলাকায় ভ্যাটিক্যালযুক্ত নলকূপে সামান্য কিছু টিউবওয়েলে পানি উঠলেও হাজারো টিউবয়েলে একে বারেই পানি উঠছে না। যে কারণে ক্রমান্বয়ে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে এলাকায়।

এপ্রিল ২৪, ২০২১ at ১৭:৫১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জিকে/এমআরএইস