ঠাকুরগাঁওয়ে হাসি নেই টুপি ও আতর বিক্রেতা নয়নের মুখে

প্রতিবছর দেশে রমজান মাসে ঈদের তিন-চার দিন আগে নতুন জামা-জুতা কেনা কাটা শেষে সাধারণ মানুষ ছুুুুটে আসে আতর-টুপির দোকানে। দেশি-বিদেশি বাহারি সব আতর-টুপির পাশাপাশি কিনত তসবিহ ও জায়নামাজ সুরমা।

কিন্তু এবার মহামারী করোনার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব হিসাব এলোমেলো করে দিয়েছে দেশ বিদেশসহ ঠাকুরগাঁও শহরেরও। তবে টুপি, জায়নামাজ, আতর, সুরমা, তসবির এই রকমারি দোকানটি সাজিয়েছে পৌর শহরের বড় মসজিদের ভিতরে নাম মাহি স্টোর।

সেখানে বাংলাদেশের তৈরি দরবার, মেশেক আম্বার, কস্তুরি এসব আতর ছাড়াও এখানে আরো পাওয়া যাবে দুবাইয়ের সুলতান,আলাহারা,আরুসা সৌদিআরব,পাকিস্তান ও ভারতের তৈরি রুহেগোলাম, চন্দন, জান্নাতুল ফেরদৌস,সহ বিভিন্ন দেশের আতর।

বাংলাদেশের তৈরি বিভিন্ন টুপির মধ্যে থাকছে পাচকোল্লী, কলোরব, তুর্কি, বক্তা, ও সুতার টুপি সহ নানা ডিজাইনের জায়নামাজ।দোকানের মালিক আসাদুজ্জামান নয়ন বলেন আনুমানিক পনের বছর ধরে আমি এই টুপি আতরের ব্যবসা করে আসছি কিন্তু এবারে কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আমার ব্যবসার হিসাব একেবারেই এলোমেলো করে দিয়েছে ।

তাই আতর টুপির পাশাপাশি জনসচেতনা বাড়াতে তৈরি করেছি একটি মাস্ক বিক্রির সো রুম তিনি আরও বলেন করোনাকালীন সময়ে যেন মানুষকে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য বর্তমান সরকারের স্লোগান নো মাস্ক নো সার্ভিসসহ নানামূখী কর্মসূচী চালাচ্ছে।

তাই দেশের নাগরিক হিসেবে আমারো দায়িত্ব রয়েছে তাই আমি শহরের মানুষের হাতের নাগালে মাস্ক সো রুমটি দিয়েছি যাতে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে অল্প দামে মাস্ক কিনে মুখে পড়ে সরকারের নির্দেশ মানতে পারে। তাতে যেমনটা আমি বাঁচবো আমার পরিবার বাঁচবে তেমনি দেশ বাঁচবে দেশের মানুষ বাঁচবে।

এপ্রিল ২৪, ২০২১ at ১০:২৪:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এএ/এমআরএইস