বগুড়ার শিবগঞ্জ করতকোলা গ্রামে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এক যুবকের উপর হামলা ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। গ্রামবাসী কর্তৃক মাদক ব্যবসায়ীর কারগাড়ি আটক।
জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের চন্ডিহারা করতকোলা গ্রামের এলাকার কু-খ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত মোঃ রুহুল আমিন গং দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসায় এলাকার যুবকেরা মাদকা শক্তির সাথে যুক্ত হওয়ায় একই গ্রামের মাওলানা মুয়াজ্জেম হোসেনের পুত্র সৌদি প্রবাসী মোঃ রায়হান আলী ২০০৭ সালে দেশে ফিরে তার নিজ গ্রামে রুহুল আমিন গংদেরকে মাদকা ব্যবসায়ী পথ থেকে বেরিয়ে এসে ভাল ব্যবসা করার পরামর্শ প্রদান করেন এবং এলাকায় কোন মাদক ব্যবসা না করা হয় মর্মে বললে রুহুল আমিন গং সেই থেকে মনে মনে রায়হান আলীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে।
দীর্ঘদিন থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে থাকার একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান ১১ টার দিকে রায়হান আলী তার বাবার মুরগির ফার্মের বিক্রয় করা ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বগুড়ায় মুরগির বাচ্চা ও মুরগির খাদ্য আনবার জন্য বাড়ী থেকে বের হয়। বাড়ী থেকে প্রায় অনুমান ৬শত গজ দূরে পাগলী বাড়ীর মোড়ে পৌছা মাত্রই মাদক ব্যবসায়ী রুহুল আমিন গং তার কারগাড়ী নিয়ে রায়হান আলীর পথরোধ করে দেশীয় অস্তশস্ত্র সজ্জিত হয়ে রায়হানের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে মারপিট করে তার কাছে থাকা প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এসময় রায়হানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় চাকু দিয়ে আঘাত করে। তার মাথায় মাঝ খানে কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। উক্ত সময় রায়হান আলীর চিৎকার শুনে গ্রামবাসী শুটে এসে দিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। শিবগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে আহত রায়হান আলীর পাশে বসে থাকা তার বাবা মুয়াজ্জেম হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এক এক নজরে দেখুন, আমার ছেলেকে মাদক ব্যবসায়ী রুহুল আমিন গং মেরে রক্তাক্ত করেছে। সকাল বেলা ছেলেকে মুরগির বাচ্চা ক্রয় ও মুরগির খাদ্য আনবার জন্য ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আমি আমার কাজের জন্য বাহিরে চলে যাই। কিন্তু বেলা ১১টার পর পরেই আমি সংবাদ পাই যে, আমার ছেলেকে রুহুল আমিন গং মারপিট করে গুরুত্বর আহত করেছে। তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি হাসপাতালে আসিয়া দেখতে পাই যে, আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে রুহুল আমিন গং মাথায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছে। আমার ছেলেকে বলছি বাবা ওরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ওদের প্রতিবাদ করিস না। ভালো লোকের পক্ষে কেউ এগিয়ে আসেনা।
তবে আমার জানা মতে, আইন এগিয়ে আসবে। আমি ওদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি। এদিকে ঘটনাটির বিষয়ে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিকের সাথে মোঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অত্র এলাকা জন সাধারণের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি যে, রুহুল আমিন গং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ওদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। তবে যদি সত্যি ওরা মাদক ব্যবসার সাথে তাহলে ওদের সাথে আমার কোন আপোষ নাই। কেননা মাদক ব্যবসায়ীরা দেশ ও জাতির শত্রু ও আমার ইউনিয়ন বাসীর শত্রু।
এপ্রিল ২২, ২০২১ at ২৩:১৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএম/এমআরএইস