জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে : সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। একই ধারায় ভবিষ্যতেও মাতৃভুমির অখন্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

মঙ্গলবার যশোর সেনানিবাসের এসটিসিএন্ডএস প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চারটি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের এক বিশেষ অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে এ অর্জন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেম ও অবিচল নেতৃত্বের অবদান। সেইসঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা আমাদের আরও নিরলসভাবে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি সেনাবাহিনীর সকলকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশমাতৃকার প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে নির্দেশ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সেনাবাহিনী প্রধান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনী একটি আধুনিক, যুগোপযোগী এবং চৌকস বাহিনী হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে এই বিরল প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে অধিক গৌরবের ও আনন্দময়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ও ১৭ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এবং ১০ ও ১১ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন এ কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে। এরপর প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।

এর আগে যশোর সেনানিবাসের এসটিসিঅ্যান্ডএস প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার সেনাপ্রধানকে অভ্যর্থনা জানান।

প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল মো. শাহাবউদ্দিনের নেতৃত্বে কালার প্যারেডে অংশগ্রহণকারী ব্যাটালিয়নসমূহের সম্মিলিত চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে সালাম প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে পূর্বে শুধুমাত্র পদাতিক ও সাঁজোয়া বাহিনী এবং বিভিন্ন সেন্টার ও স্কুলগুলোকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হতো। গত ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টম্বর বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহম্মেদ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকান্ডে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ আর্টিলারী, ইঞ্জিনিয়ার ও সিগন্যাল ইউনিট সমূহকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন।

এপ্রিল ০৬, ২০২১ at ১৫:২৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জেএন/এমআরএইস