ঝিকরগাছায় ১৪৪ ধারা অমান্য করে গাছ কেটে সাবাড়সহ জমি দখলের অভিযোগ

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পল্লীতে ১৪৪ ধারা অমান্য করে জমি দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশ।

লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের দেউলী গ্রামের মুক্তার হোসেন একই গ্রামের পাঞ্জাব আলী খার নিকট হতে ২০০১ সালে ১০শতক ও ২০১৭ সালে আরো ১০ শতক জমি ক্রয় করে। যা পাঞ্জাব আলী খা নিয়মানুযায়ী মুক্তার হোসেনের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।

ফলে তিনি ক্রয়কৃত জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করে এবং বিভিন্ন গাছ-গাছালি রোপন করেন। কিন্তু পাঞ্জাব আলী খা জমি বিক্রয়ের তথ্য গোপন করে একই গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে শাহিন হোসেনের নিকট জমিটি পূনরায় বিক্রয় করেন। শাহিন হোসেন ঐ জমি দখল নিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে গন্ডোগোলের সৃষ্টি হয়।

ঘটনায় মুক্তার হোসেন যশোর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পাঞ্জাব আলী খা, তার স্ত্রী রহিমা খাতুন ও সন্তান হাসান আলী খাকে আসামী করা হয়। এবং তিনি একই জমিতে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করলে আদালত আইন শৃংখলা বজায় রাখার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে ঝিকরগাছা থানার ওসিকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

কিন্তু আদালনের ১৪৪ ধারা অমান্য করে গত ২৭ মার্চ শাহিন হোসেনের নেতৃত্বে দেউলী গ্রামের বাদু মন্ডলের ছেলে আলী হোসেন ও রবিউল ইসলাম, তার ছেলে আব্দুল্লাহ সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মুক্তার আলী খার লাগানো একটি শিশু গাছের ডাল-পালা কেটে দেয় এবং জমির কিছু অংশ কাটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছে। এবং এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় মুক্তার আলী খা ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক এ প্রতিনিধিকে জানান, আমাদের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের উপর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিবাদী শাহিন হোসেন রিপন বলেন, আমরা কাগজপত্র অনুয়ায়ী জমি কিনেছি এবং সেই অনুযায়ী দখল করেছি।