চর্তুমুখী তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া: প্রশাসনের নিরবতা নিয়ে প্রশ্ন জনমনে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর লণ্ডভণ্ড করার ঘটনায় শুধু হেফাজত দায়ী ছিল না। হেফাজতের কাঁধে ভর করে কিছু উগ্রবাদী, বিএনপি, জামায়াত, শিবির, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অংশ এবং শহরের উঠতি ছিনতাইকারীরা ভাঙচুর ও লুটপাটে অংশ নিয়েছে। মাত্র ৬ ঘণ্টায় তারা শহরে গানপাউডার ও পেট্রল দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও লুটতরাজ চালিয়েছে। এই ৬ ঘণ্টায় তাদেরকে থামাতে পুলিশ, প্রশাসন এমনকি আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। বরং সাধারণ মানুষ নিজের বাড়িঘর রক্ষার জন্য মাঠে নেমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। এ পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল বুধবার দিনভর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ঘুরে ভোরের কাগজের অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতালে চর্তুমুখী তাণ্ডব চালানো হয়। এ তাণ্ডরের দায় আওয়ামী লীগ চাপাচ্ছে হেফাজতসহ বিএনপি-জামায়াতের ওপর। বিএনপি বলছে, হেফাজতের সঙ্গে তাদের কোনো সখ্যতা নেই। অন্যদিকে এ তাণ্ডবে নিজেদের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, হামলার দায় কার? ওই তাণ্ডবে কার কী ভূমিকা ছিল? সে নিয়ে গতকাল শহরজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলেছে। সাধারণ মানুষ ঘটনার হোতাদেরও চিহ্নিত করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশ নীরব। পুলিশের সাত মামলার ৫ সহস্রাধিক আসামির মধ্যে হেফাজতের কোনো নেতাকর্মীর নাম নেই। মামলায় অগ্নিসংযোগের অপরাধের ধারাও সংযুক্ত হয়নি। মামলা নিয়ে পুলিশের মধ্যেও রয়েছে লুকোচুরি। এতে সাধারণ মানুষ বলছে, আগেরগুলোর মতো এ ঘটনারও বিচার হবে না। কারণ পুলিশ ও হুজুরদের মধ্যে গভীর সখ্য তৈরি হয়েছে।

এ রকম পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর পরিদর্শনে আসেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। তারা প্রথমেই ভাঙচুর হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শন করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ওইদিনের ঘটনা মাহবুব-উল আলম হানিফের কাছে বর্ণনা করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে আমার, ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। তারা গান পাউডার দিয়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়েছে। হামলার পর প্রশাসনের কেউ বাড়িঘর দেখতে যায়নি। এর রহস্য কী? তিনি অভিযোগ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে পর্যন্ত যত ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোতে মোল্লাদের সঙ্গে সমঝোতা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ন্যক্কারজনক ঘটনার নেপথ্যে দলীয় আত্মঘাতী কারো হাত থাকতে পারে বলে মাহবুব-উল আলম হানিফের কাছে অভিযোগ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ‘ইস্টার্ন মিডিয়ার’ সম্পাদক ও প্রকাশক মো. বিল্লাল হোসেন। বিস্তারিত বলার আগেই তাকে থামিয়ে দেয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন কথা বলতে চাইলে তাকেও থামিয়ে দেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। পরে স্থানীয় সাংসদ নিজেই এই ঘটনার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।

হানিফ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যা ঘটেছে, তা পূর্বপরিকল্পিত। শুধু হেফাজত নয়, এই ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত। গান পাউডার দিয়ে জামায়াত বিএনপিই নাশকতা করে। আমরা সারা দিন শহরটি ঘুরব এবং যা তথ্য পাব, তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে জানাব। অবশ্যই এ ঘটনার বিচার হবে। এরপর তারা শহরের পুড়ে যাওয়া স্থাপনাগুলো দেখতে যান।

জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতা সৃষ্টিকারী হেফাজতে ইসলামের বিচার প্রধানমন্ত্রী চান কিনা, এটা আগে জানতে হবে। সেদিন জেহাদের জন্য সাধারণ মানুষকে কারা উসকানি দিয়েছে? কারা তাণ্ডব চালাতে সাধারণ মানুষকে মাঠে নামিয়েছে? এটা অবশ্যই বের করতে হবে। তিনি বলেন, ২৭ মার্চে শহরের মধ্যে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের মিছিল থেকে উসকানি দেয়ার কারণেই তাণ্ডব চালানো হয়েছে। ওরা যা খুশি তাই করবে, স্থানীয় সাংসদ একটি মিছিলও বের করতে পারবে না?

মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদা খান লাভলু বলেন, যখন তারা শাবল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে আক্রমণ করছে, তখন কইলজার মধ্যে লাগছে। এরা আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে আঘাত করেছে। আর ওরা এমন তাণ্ডব করবে নাইবা কেন, হরতালের দিনে সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত শহরে কোনো সরকার ছিল না। বাধা দেবে কে? তিনি বলেন, ওইদিনের হামলায় শুধু হেফাজতের কর্মীরা নয়, মাথায় হেলমেট, মুখোশ পরে বহিরাগতরাও তাণ্ডব চালিয়েছে। এসব দেখে আমরা কান্না করেছি, আর স্থানীয় বিএনপির লোকরা হাসাহাসি করেছে।

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে মাদ্রাসার ছাত্রদের উসকানি দেয়ার অভিযোগ সত্য নয়। ওই মিছিলটি শহরের জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা অতিক্রম করে যাওয়ার শেষ সময়ে পেছন থেকে কয়েকটি ছেলে গুজব তোলে, আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় হামলা হয়েছে। এরপরে মাদ্রাসার ছাত্ররাও বেরিয়ে পড়ে। মূলত মিছিল থেকে কোনো হামলা হয়নি। শহরের লোকজন বলেছেন, মাদ্রাসাটি কান্দিপাড়ায় অবস্থিত এবং কান্দিপাড়া বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা। এরা পরিকল্পিতভাবেই রটিয়েছে, আওয়ামী লীগ মাদ্রাসা আক্রমণ করেছে। এরপর থেকেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

একই সঙ্গে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষে নুরুল হক নূর তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি বি.বাড়িয়ায় গ্যাস-বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শহরে মোতায়েন করা হয়েছে র‌্যাব, বিজিবিসহ প্রচুর পুলিশ। যেহেতু কাছেই ভারতীয় সীমান্ত তাই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে যুক্ত করে আরেকটি শাপলা চত্বর ঘটতে পারে। তার এ স্ট্যাটাসে ৮০ হাজার মানুষ প্রতিক্রিয়া দেয়। এরপরে পরিস্থিতি আরো অশান্ত হয়ে উঠে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক ছাত্রনেতা মনির হোসেন টিপু বলেন, তাণ্ডবের পর মামলায় হেফাজতের কর্মী অথবা উসকানিদাতাদের নাম নেই। এমনকি মামলার কপিতে আগুনে পোড়ানোর অপরাধের ধারাও সংযুক্ত করা হয়নি। এর থেকেই বোঝা যায়, বিচার কতটুকু হবে?

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন, হেফাজত, জামায়ত, বিএনপি অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীরা শহরে তাণ্ডব চালিয়েছে এবং তারা কয়দিন পরপরই তা করে। ২০১৬ সালের পর গত ২৮ মার্চ বড় হামলা হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে দিনে দিনে হামলার বহরও বড় হচ্ছে।

তরুণ প্রকৌশলী নাঈম বলেন, আধঘণ্টার মধ্যে মাদ্রাসাগুলো ১০ হাজার লোক জড়ো করতে পারে। এর বিপরীতে আওয়ামী লীগ করতে পারে না। ফলে আওয়ামী লীগও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারে না। এছাড়া এরা ‘বাঁচলে গাজী মরলে শহীদ’ নীতি নিয়ে মাঠে নামে। ফলে প্রশাসনও তাদের সমঝে চলে। তবুও রাজনৈতিক দল একাট্টা হলে হয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের (শিশু শিল্প চর্চা কেন্দ্র) সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, সেদিনের হামলায় হেফাজতের পাশাপাশি জামায়াত, বিএনপির লোকও ছিল। বহু হামলাকারী ছিল হেলমেট পরিহিত। আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ যারা গত ১০ বছর ধরে বঞ্চিত, তারাও পেছন থেকে ঘটনার ইন্ধন দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন জানান, একসময় জামায়াতের সাংসদ প্রার্থী বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা শহরের কাজীপাড়া আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও এসব ঘটনায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

জানতে চাইলে স্থানীয় দৈনিক কুরুলিয়ার সম্পাদক ইব্রাহীম খান সাদাত বলেন, ২৮ মার্চ বেলা ১১টার পর কারা ছিল মাঠে? এরপরই তিনি প্রসঙ্গ পাল্টে বলেন, ভাই আমার কোনো বক্তব্য নেই। এখন কথা বলাও অপরাধ।

তবে অনেকেই বলেছেন, সম্প্রতি শেষ হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর পৌরসভার ভোটও এ ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছে। অর্থাৎ পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাজী মাহমুদুল ইসলাম প্রায় ১৯ হাজার ভোট পান। তার অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতারাও ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন।
গতকাল বুধবার মাহমুদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিনের তাণ্ডবলীলায় শুধু হেফাজত ছিল না। ছাত্রদলের লোকদের উপস্থিতি বেশি ছিল। জঙ্গি সংগঠনেরও কেউ থাকতে পারে। জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ আপনাকে দায় দিচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হুজুরদের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, তা খুঁজে বের করা হোক। নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই সব বেরিয়ে আসবে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি আব্দুর নূর বলেন, তাণ্ডবে শুধু হেফাজত নয়, অন্যরাও জড়িত। কেন এসব ঘটনা ঘটছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এসব হচ্ছে। এছাড়া সরকার চায় না বলেই বিচারও হচ্ছে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সোমেশ রঞ্জন রায় বলেন, সেদিন শহরের অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার মতো আনন্দময়ী কালীবাড়িতেও হামলা হয়েছে। প্রয়াত বড় হুজুর মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ও নুরুল্লাহ হুজুর থাকলে হয়তো কালীমন্দিরে ন্যক্কারজনক হামলা ঘটত না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উদিচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক জহিরুল ইসলাম স্বপন বলেন, এ ঘটনায় হেফাজতসহ জড়িত অন্যদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, সেদিন যেভাবে গান পাউডার ও পেট্রল দিয়ে শহরকে তছনছ করা হয়েছে এবং বেছে বেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক, ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের বাড়িঘর ভাঙচুর ও পোড়ানো হয়েছে, তা পরিকল্পনা ছাড়া সম্ভব নয়। যে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় ভাঙচুর চালানোর গুজবের কথা বলে মাদ্রাসা থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের বাড়িঘর পোড়ানো হলেও সেই মাদ্রাসার একদম পাশে অবস্থিত শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামের বাড়ি অক্ষত রয়েছে।

এই পয়েন্টকে সামনে রেখে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়িঘর পুড়িয়ে শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, এখানে হুজুরদের সঙ্গে প্রশাসনের সখ্য থাকায় বিচার হয় না। এমনকি আসামিই গ্রেপ্তার হয় না। আগামী কয়েক দিনে কিছু নির্দোষ ব্যক্তি ধরা পড়বে, জেল খাটবে। বিচার আর শেষ হবে না। এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি বলেন, পুরো বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ। পিবিআই বিষয়টির তদন্ত করছে এবং অবশ্যই বিচার হবে।

ref: bhorerkagoj