চৌগাছায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একটি কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় পথচারীসহ স্থানীয়দের দূর্ভোগ চরমে

যশোরের চৌগাছায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একটি কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় পথচারীসহ স্থানীয়দের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। যানবাহনের শ্রমিকরা ভাঙ্গা জায়গায় মাটি ভরাট করে কোন রকমে চলাচলের উপযোগী করছেন। বর্ষায় কালভার্টের উত্তর পাশের ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ার আশংকায় স্থানীয়রা। তবে দ্রুতই নতুন কালভার্ট নির্মান কাজ শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।

চৌগাছা উপজেলা সদরের পশ্চিমে ভারত সীমান্তের পাশেই অবস্থিত পুড়াপাড়া বাজার। উপজেলা সদর থেকে যার দুরাত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটরা। পুড়াপাড়া বাজারের পূর্বপাশে সড়কে একটি কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহনসহ পথচারীদের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাসের পর মাস কালভার্ট ভেঙ্গে থাকলেও সেদিকে কারও নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় যানবাহনের শ্রমিক ও স্থানীয়রা মিলে ভাঙ্গা কালভার্ট মাটি ও ইট দিয়ে ভরাট করে কোন রকমে চলাচলের উপযোগী করেছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কিছুদিন পরেই শুরু হবে বর্ষা মৌসুম। বর্ষায় কালভর্টের উত্তরপাশে শ্যামনগর গ্রাম ও ফসলি জমির পানি ওই কালভার্ট দিয়ে বের হয়। মাটি দিয়ে কালভার্ট ভরাট করায় স্থানীয়দের কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে। বর্ষার আগেই ভাঙ্গা কালভার্ট নির্মান করা না হলে তারা বড় সমস্যায় পড়বেন।

শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান, মনির উদ্দিন মারুফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৬ মাসের বেশি সময় ধরে এই কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট বেড়েছে। ভাঙ্গা স্থানে প্রতি দিনই ছোটখাটো দূর্ঘটনা লেগেইে আছে। অপরিচিত কোন ব্যক্তি এখানে মোটরসাইকেল কিংবা অন্য কোন যানবাহনে এলেই দূর্ঘটনার মুখে পড়ছেন। ছোটখাটো যানবহন প্রতি দিনই বিকল হচ্ছে। শ্রমিকরা নিজ উদ্যেগে ভাঙ্গা কালভার্ট মাটি ও ইট দিয়ে ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করেছেন।

পথচারী বিল্লাল হোসেন জানান, গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এই কালভার্ট ভেঙ্গে থাকায় মানুষের কষ্টই বেড়েছে। অনেকে বিকল্প পথে উপজেলা সদরে যাতায়াত করছেন। সড়কে নিয়মিত ইজিবাইক চালক গোলাম রসুল বলেন, চৌগাছা-পুড়াপাড়া সড়কে ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালায়। ভাঙ্গা কালভার্টের কারনে বেশ কিছুদিন চলাচল করতে না পারায় বেশ কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। পরে কালভার্ট মাটি দিয়ে ভরাট করায় এখন কোন রকমে চলাচল করতে পারছি। দ্রুত এই ভাঙ্গা কালভার্ট মেরামত করা প্রয়োজন।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মুনছুর রহমান বলেন, ভাঙ্গা কালভার্ট নির্মানের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি চলতি মাসেই নির্মান কাজ শুরু হবে।

মার্চ ০৯, ২০২১ at২২:১৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআই/এমআরএইস