প্রবাসী স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা স্বামীর

রবাসী অদ্যসিত এলাকা সিলেটে আমেরিকা প্রবাসী স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন স্বামী। সুন্দরী মৌসুমী আমেরিকার স্থায়ী ইমিগ্রেন্ডধারী হওয়াতে বার বার বিয়ে পিড়িতে বসছেন বলে নানা প্রতারনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের কাছেন বাংলাদেশের সিলেটী যুবক জাকের আহমদ।

তিনি সিলেটের আদালতের স্বরণাপন্ন হলে মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের ভার পায় সিলেট এয়ারপোর্ট থানা। পুলিশ নিবিড় পর্যপেক্ষ তদন্ত শেষে আমেরিকা প্রবাসী মৌসুমী তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ অপররাধ মুলক প্রতারণার মাধ্যমে পূর্বের বিয়ে গোপন করে বিবাহ সম্পন্ন করার অপরাধে মামলা রুজু করা হয় । মামলা নং (৭)/২/২০২১ইং।

মামলার বাদী জাকের আহমদ দ্বিতীয় স্বামী তিনি অভিযোগ করেন ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারী শারমিন সুরভী মৌসুমীর সঙ্গে ২১ লাখ টাকা মুসলিম আইন অনুযায়ী দেনমোহর সাব্যস্থ করে বিবাহের পিড়িতে বসেন। মৌসুমীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট চুনাহাটি গ্রামে দেখানো হয় মামলায়।

আসামী করা হয় নিজপাট গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রফিকুর আর এম এ মুনিম তার স্ত্রী ইমামা বেগম চৌধুরী ও মেয়ে শারমিন সুরভী মৌসুমীকে। বিয়ের ১৩ দিন পর অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি মৌসুমী আমেরিকায় পাড়ি দেন বাবা মায়ের সঙ্গে। আমেরিকা যাওয়ার পর মৌসুমী তার মার মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতেন।

ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায়। ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর মৌসুমী ফোন দিয়ে বলেন তোমাকে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে হলে আমার মায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৫ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। বিষয়টি বাদীর মা জানতে পেরে ছেলেকে এত টাকা দিতে বারণ করেন। স্ত্রীকে এতো টাকা দিতে না পারায় একপর্যায়ে মৌসুমী তার সাথে সম্পর্ক বিছিন্ন করার কথা জানায়। মৌসুমীর এসব কথাবার্তায় সন্দেহ হলে বিষয়টি তার গ্রামের বাড়ি জৈন্তাপুর গিয়ে স্বজনদের জানান জাকের। তখন জানতে পারেন মৌসুমীর আরেক বিয়ে হয়েছিল। ২০১২সালের ৩০ ডিসেম্বর চিকিৎসক ফরিদ আহমদ নামের একজনের সঙ্গে বিয়ে ছিলেন মৌসুমীর বাবা মা।

এ তথ্যটি তার কাছে গোপন রেখে কুমারি মেয়ে হিসেবে বিয়ে দেন তার সঙ্গে। তিনি আরও জানতে পারেন আগের স্বামী চিকিৎসক ও মৌসুমির ঘরে একটি ২০১৫ সালে ৩ এপ্রিল একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে মৌসুমীর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন জাকের এব ঘটনার সত্যতাও পান। মামলার তথ্য মতে জাকের জানতে পারেন যে, অভিযোক্ত মৌসুমী তার বাবা মা ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই ডা. ফরিদের সঙ্গে মৌসুমীর বিয়ে দেন ৩০ লাখ টাকা দেন মোহরে। পরবর্তীতে ডাক্তার স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ দেন বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান মৌসুমী ও তার পরিবার ।

এ সুযোগে মৌসুমীসহ তার বাবা মা মিলে ডাক্তার স্বামীর বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালতে মামলা দয়ের করেন মামলা নং ৩৯/২০১৮ইং। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ সোলেনামা দাখিলের মাধ্যমে তা নিস্পত্তি করা হয়। এ বিষয়টি বাদী দ্বিতীয় স্বামীকে ৫ জানুয়ারি ২০২১ ইং নিশ্চিত করেন আগের স্বামী ডা. ফরিদ ।

মৌসুমীর দ্বিতীয় স্বামী স্ত্রীর প্রতারণার সকল কৌশল বিয়ে নামে বাণিজ্য ও আর্থিক ভাবে লাভবানের কথা তুলে ধরে আদালতে। তিনি নিজ স্ত্রীসহ শাশুর শাশুরীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে ন্যায় বিচারের দাবী করেন।

মার্চ ৪, ২০২১ at২১:৪৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/একেআর/এমএসএইস