আম মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত চৌগাছা

বসন্ত মেতেছে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে, আর মৌমাছির গুণ গুণ শব্দে।বসন্ত আসলেই সারা দুনিয়া এক অন্য রকম সুগন্ধীর বাতাস বয়।আর এই বসন্তের ছোয়া লেগেছে যশোরের চৌগাছায়ও।

সিমান্তবর্তী এই উপজেলা কৃষির দিক দিয়ে অন্য সব উপজেলার থেকে অনেক এগিয়ে আছে।নানান ধরনের ফসল উৎপাদন হয় এই উপজেলায়। আর এর সাথে যোগ হয়েছে বানিজ্যিক ভাবে আম চাষ।ইতি মধ্যে চৌগাছার আম এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে বাহিরের জেলাও ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করেছে।চাহিদা অনুসারের প্রতিবছর হাজার হাজার বিঘা জমিতে চাষ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির আম।

উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় কম বেশি প্রায় সব গুলো আম গাছেই শতভাগ মুকুল চলে এসেছে। যতো দূর চোখ যায়,চারিদিকে শুধু আমের মুকুলের সমোরহ।আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে এই উপজেলার হাজারো আম চাষিরা।ইতি মধ্যে আমের বাম্পার ফলনের আশায় দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছে আম চাষিরা।

সরেজমিন বৃহস্পতিবার উপজেলার হাজরাখানা,বাটিকামারি,পেটভরা,নারায়ণপুর,হাকিমপুর,দেবিপুর,পাতিবিলা,ইছাপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন আম বাগানে যেয়ে দেখা যায়,আম চাষিরা আমের বাগানে পরিচর্চা করছে।এই উপজেলায় সাধারন আমরুপালি, গোপালভোগ, রাজভোগ, ফজলি, ল্যাৎড়া, কাচামিঠা ও মল্লিকা জাতের আম বেশি চাষ করা হয়।

আম চাষি হায়দার আলী জানান,তাদের আম বাগান গুলো ইতি মধ্যে ৯৫ ভাগ মুকুল চলে এসেছে,এই সময় আমে সাধারণত হুপার পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়।তাই আগে ভাগেই পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য আম গাছে বিভিন্ন কিটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। আম চাষি রাজুমিয়া জানান,বাহিরের থেকে প্রতি বছর কয়েকশত আম চাষিরা আসেন আমের ব্যাবসা করতে।ইতি মধ্যে তারা আমের মুকুল দেখে অগ্রিম আম বাগান কিনছেন।

মার্চ ০৪, ২০২১ at২০:৪৪:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআই/এমআরএইস