রাজশাহীতে থেকে দ্বিতীয় ছেড়ে যায়নি জেলা ও আন্তঃজেলাসহ দূরপাল্লর সব ধরনের বাস। এতে দুর্ভাগে রয়েছেন যাত্রীরা।
০১ মার্চ সোমবার সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বাস না পেয়ে পাশের জেলা ও আন্তঃজেলার যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়ায় সিএনজি ও অটোরিকশায় যাচ্ছেন তাদের গন্তব্যে। তবে সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও চলছে অটোরিকশা।
নগরীর সাগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাবেদ নামের এক ঠিকাদার বলছেন, ঠিকাদারী কাজ চলছে পুঠিয়া উপজেলায়। রাজশাহী থেকেই প্রতিদিন যেতে হয় বাসে। তবে হুট করেই ধর্মঘটের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
এনজিওকর্মী মিলন বলেন, ‘তানোর-মোহনপুরের কয়েকটি এলাকায় প্রতিদিনই যেতে হয় টাকা কালেকশনে। আর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম বাস। কিন্তু শুনছি বিএনপির সমাবেশ হবে বলে বাস চলবে না আজও। অটোরিকশায় ৩০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা খরচ করে যেতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর থেকেই পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ করে দেন বাস ও পরিবহন মালিকরা। তাদের দাবি, বগুড়ায় মারধরের শিকার শ্রমিকরা ন্যায়বিচার না পাওয়ায় তারা এই পরিবহন ধর্মঘট দিয়েছেন।
রাজশাহী শ্রমিক ইউনিয়নের জেলার সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলছেন, গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের সঙ্গে এই পরিবহন ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নেই। বগুড়ায় শ্রমিক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনার জেরেই রাজশাহীর সাথে সব জেলা ও উপজেলার বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার পরিবহন মালিকরা।
একইভাবে রাজশাহী থেকেও কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে বুধবার থেকে যথারীতি বাস চলাচল করবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
এদিকে রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান সংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শহরের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ও জনভোগান্তি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অপরদিকে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলছেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ‘ইচ্ছাকৃতভাবেই গত সোমবার থেকে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সমাবেশকে প- করার জন্যই এই পরিকল্পনা করেছে তারা। বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা যাতে সমাবেশে না আসতে পারে সেজন্যই আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মার্চ ২, ২০২১ at২০:২৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআরআর/এমএসএইস
