দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞার চিঠি পাওয়ার দুই ঘন্টা আগেই বেনাপোল হয়ে ভারতে প্রবেশ করে পি কে হালদার

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক পথে দেশত্যাগ করেছেন। সোমবার (১ মার্চ) ইমিগ্রেশন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে এ তথ্য জানিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী ১৫ মার্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর দুদক ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানানোর জন্য বিশেষ শাখার (এসবি) সদর দপ্তারকে চিঠি দেয় পি কে হালদার যেন দেশত্যাগ না করতে পারেন। এসবি সদর দপ্তর দুদকের ওই চিঠি হাতে পায় ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায়। ওইদিন বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে ইমিগ্রেশন পুলিশের সব শাখায় পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে চিঠি পাওয়ার দুই ঘণ্টা ৯ মিনিট আগেই (বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে) পি কে হালদার বেনাপোল দিয়ে দেশত্যাগ করেন। অর্থ্যাৎ পি কে হালদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির চিঠি পাওয়ার আগেই তিনি দেশত্যাগ করেন।

আরো পড়ুন :
অনিয়মে প্রশ্নবিদ্ধ পৌরসভা নির্বাচন
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে আলজাজিরার বিরুদ্ধে দুই প্রতিষ্ঠান ও তিন ব্যক্তি কর্তৃক মামলা
প্রবাসীর স্ত্রী উধাও, সন্ধান দিলে পুরস্কার

এর আগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কীভাবে দেশত্যাগ করলেন তা জানতে চান হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে পিকে হালদার যেদিন দেশত্যাগ করেছিলেন, সেদিন বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন তার তালিকা দাখিল করতে বলেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকার বিষয়ে কী কী পদপে গ্রহণ করা হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেপ্তার করতে কী পদপে নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই আদেশ দেন হাইকোর্ট।

জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার করে কানাডায় পাড়ি দেন পি কে হালদার। দেশত্যাগের সময় পি কে হালদার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন।

মার্চ ২, ২০২১ at১২:০৪:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আর্ক/ডিপি/এমএসএইস