রাজশাহীর ৩টিতে আ’লীগ, ১টিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়

চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত রাজশাহীর চারটি পৌরসভা নির্বাচনে তিনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। আর একটিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। রোববার রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, পবার নওহাটা এবং বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভোটগণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তাহেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ১০ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবু নঈম মো: সামসুর রহমান মিণ্টু পেয়েছেন ৯০৩ ভোট। আবুল কালাম আজাদ টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন।

তানোর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইমরুল হক ১২ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান পেয়েছেন ৭ হাজার ২১৭ ভোট। মিজানুর রহমান মিজান পৌরসভার বর্তমান মেয়র। প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পর এবারই প্রথম তানোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা মেয়র হলেন।
পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ বিজয়ী হয়েছেন। পৌর যুবলীগের সভাপতি হাফিজ নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৫১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল বারী খান তার নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৮৬ ভোট। তবে প্রথমবারের মতো মেয়র হলেন হাফিজুর রহমান হাফিজ।

এদিকে, গোদাগাড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের ভরাডুবি ঘটেছে। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনিরুল ইসলাম বাবু। তিনি পৌরসভার বর্তমান মেয়রও। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। আর এতেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হলেন তিনি। মনিরুল ইসলাম বাবু ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৮১৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রুলু তার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৯৩ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪ ভোট।

এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়। রাজশাহীর চারটি পৌরসভার মধ্যে শুধু গোদাগাড়ীতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। অপর তিনটিতে ভোটগ্রহণ করা হয় ব্যালটে।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১ at১৭:৩১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআরআর/এমএসএইস