যশোরসহ তিন পৌরসভা নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত

যশোর পৌরসভা নির্বাচন আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টে একটি রিট শুনানি শেষে নির্বাচনের উপর এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। সীমানা সম্প্রসারণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিটটি করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হাসান মোল্যার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে যশোর পৌরসভার ২৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের উপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন আদালত। রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট পঙ্কজ কুমার কুন্ডু।

এছাড়া আরও দুটি পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তা হলো- মুন্সীগঞ্জের মীর কাদিম পৌরসভা ও জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভা।

জানা যায়, যশোর উপশহরের ৭নং সেক্টেরের বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এডি আব্দুল্লাহ, রামনগর ইউনিয়নের আমির আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকার মোকসেদ আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম রিট আবেদনটি করেন। তারা যশোর পৌরসভার সীমানা বৃদ্ধির পর সৃষ্ট জটিলতা সমাধানের আগে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন।

গত ১৯ জানুয়ারি যশোর পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী গত ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। দাখিলকৃত মনোয়নপত্র গত ৪ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাই করে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি যশোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধানের শীষের মনোনয়ন পান সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্ট সেই নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট যশোর পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণ করে গেজেট প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সেই গেজেট অনুযায়ী যশোর পৌরসভার লাগুয়া ছয়টি ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ পৌরসভার সাথে যুক্ত হয়। যুক্ত হওয়ার মধ্যে রয়েছে উপশহর ইউনিয়নের বিরামপুর, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের শেখহাটি, কিসমত নওয়াপাড়া ও নওদাগ্রাম, আরবপুর ইউনিয়নের খোলাডাঙ্গা, ফতেপুর ইউনিয়নের ঝুমঝুমপুর ও বালিয়াডাঙ্গা, রামনগর ইউনিয়নের রামনগর, মুড়লী ও মোবারককাঠি এবং চাঁচড়া ইউনিয়নের চাঁচড়া মৌজার একাংশ। তবে এবারের পৌরসভা নির্বাচনে ঘোষিত তফসিলে এই বর্ধিত অংশ নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়।