ঝিকরগাছায় সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাস্ক, হ্যান্ড-স্যানিটাইজার ও সবজি বিতরণ

যশোরের ঝিকরগাছায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বপ্নলোকের পাঠশালার ১ম ও ২য় ক্যাম্পাসের চলতি বছরের ৭০জন শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পুরাতন ১৫০জন অভিভাবকদের মাঝে সবজি বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার সকাল ৯টায় ঝিকরগাছা পৌর সদরের মোবারকপুরস্থ কলেজপাড়া এবং কৃষ্ণনগরস্থ খালপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান পেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

স্বপ্নলোকের পাঠশালা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মেঘনা ইমদাদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও কথা সাহিত্যিক সফিয়ার রহমান, অবসরপ্রাপ্ত সমবায় অফিসার এবিএম আক্তারুজ্জামান, কবি ও সাহিত্যিক টিপু সুলতান, পেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইমদাদুল হক ইমদাদ, শিক্ষক রিজন বিশ্বাস, শিক্ষক বিথী খাতুন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০১৭ সালে এলাকার পিছিয়ে পড়া, হতদরিদ্র, পিতৃ-মাতৃহীন শিশুদের নিয়ে নিজেদের অর্থায়নে ঝিকরগাছা পৌরসভার অভ্যন্তরে কৃষ্ণনগর মাঠপাড়ায় প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বপ্নলোকের পাঠশালা পরিচালিত হচ্ছে। এ বছর স্বপ্নলোকের পাঠশালার ২য় ক্যাম্পাসে মোট ৭০জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। পেন ফাউন্ডেশন করোনা ভাইরাস শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে করোনার সংক্রমণ মোকাবেলা এবং এর বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

যেমন: স্বপ্নলোকের পাঠশালার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষদের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, হ্যান্ড গ্লোভস, বিলিসিং পাউডার, পোস্টার এবং লিফলেট, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিশু খাদ্য এবং অভিভাবকদের মাঝে নগদ অর্থ, মানবিক সহায়তা- চাল, ডাল, তেল, আলু, চিনি, পেঁয়াজ, শাক-সবজি, লবণ, ঈদ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ঈদ পোশাক এবং অভিভাবকদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এছাড়া উপজেলার ইউনিয়নসমূহে ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়। বিদেশ থেকে আগতদের ১৪দিন পর্যন্ত নিজ বাড়িতে অবস্থান নিশ্চিত করানো। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যাবেন না এবং বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন এবং হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন এসংক্রান্ত মাইকিং করা হয়।

করোনা ভাইরাসে পজিটিভ ব্যক্তিদের ওষুধ, ফলমূল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহে সহযোগিতা করা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতব্যক্তির নিরাপদভাবে দাফন/সৎকারসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কমিটি গঠনপূর্বক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতব্যক্তির নিরাপদভাবে দাফন/সৎকার করা হয় এবং উপজেলার সকল জনগোষ্ঠীকে সচেতন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রধানশিক্ষক মেঘনা ইমদাদ বলেন, সমাজের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই শুরু হয়েছিল এপথ চলা। আমার এই কাজে সমাজের অনেকেই উৎসাহ ও সহযোগিতা করেছেন। তিনি ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।