রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে রেল কর্মচারী (ট্রলিম্যান) সুমনের বিরুদ্ধে। রেলওয়ের কর্মচারী হয়েও কীভাবে তিনি রেলওয়ের গাছ কাটলেন তা নিয়ে রেলভবনে নানা আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর বর্ণালী মোড়ের সুইটের দোকের পিছনে এ গাছ কাটার ঘটনা ঘটে। এই এলাকায় রেললাইনের ধার দিয়ে বিভিন্ন ধরণের বনজ গাছ রয়েছে। ৮ মাস আগে রেল লাইনের ধারে ঝড়ের কারণে একটি বড় নিম গাছ হেলে পড়ে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ জানার পরেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
হঠাৎ করে গত বৃহস্পতিবার রেল কর্মচারী সুমন লোকজন নিয়ে গিয়ে গাছটি সম্পূর্ণ কাটার চেষ্টা করেন। প্রথমেই তারা হেলে পড়া গাছটির প্রায় অর্ধেক অংশসহ ওপরের দিকের ডালপালা কাটা শেষ করেন। এরই মধ্যে এ খবর জানাজানি হলে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তখন গাছটি কাটা বন্ধ রাখেন সুমন।
এরই মধ্যে গাছের যতটুকু অংশ কেটে নিয়েছেন তার মূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর পুরো গাছটির মূল্য প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
তবে সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই এলাকার রেললাইনের ধার দিয়ে যেসব ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে তার মালিকানায় রয়েছে বনবিভাগ। তবে এ ব্যাপারে বনবিভাগের তরফ থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানা যায়নি।
এদিকে, অরেকটি সূত্র বলছে, গাছটি আসলে রেলওয়ের, নাকি বনভিাগের তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। কিন্তু যে দফতরেরই আওতাধীন হোক না কেন- একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও কীভাবে সরকারি একটি গাছ কাটতে পারে তা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্ত এসএম সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, খোজ নিয়ে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে রেলওয়ের আই ডাব্ল বকুল আক্তার বলেন, গাছ কাটার বিয়টি আমি শুনেছি।
এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য ট্রলিম্যান সুমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই এবং এ ঘটনায় আমি জড়িত নাই। তবে তার তরফ থেকে এ ব্যাপারে নিউজ না করার জন্য তদবির করেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়ার আল ফাত্তাহ মাসুদ বলেন, আমি অফিসিয়ালি কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
