চৌগাছায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, ৩ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১৩

যশোরের চৌগাছার উপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু সত্য প্রবাহে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। রাত কিংবা দিন সারাক্ষনই কনকনে ঠান্ডা, এতে করে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ছে উপজেলার মানুষ। এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গত তিন দিনে ১৩ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, অনেকে জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসা গ্রহন করেছে।

গত ৪/৫ দিন ধরে চৌগাছার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু সত্যপ্রবাহ। প্রচান্ড ঠান্ডার কারনে মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেশি লক্ষ্য করা গেছে। গরীব অসহায় শ্রেনীর মানুষেরা শীতবস্ত্রেও অভাবে নিদারুন কষ্টে দিন যাপন করছেন। এদিকে প্রচান্ড ঠান্ডার কারনে শীত জনিত নানা রোগে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে ঠান্ডাজনিত কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে কম পক্ষে ১৩ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ভর্তিকৃত শিশুরা হলো- উপজেলার বুড়িন্দিয়া গ্রামের আবু তাহেরের ১১ মাসের শিশু কন্যা ফাতেমা খাতুন, শাহাজাদপুর গ্রামের শিমুল হোসেনের ১১ মাসের ছেলে রিফাত হোসেন, উজিরপুর গ্রামের ফুল মিয়ার আড়াই বছরের শিশু মোঃ স্বাধীন, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আইনউদ্দিনের দেড় বছরের শিশু আরিয়ান, ঝিনাইকুন্ডু গ্রামের সোহাগ হোসেনের মেয়ে মেহেরিয়ান (২), সৈয়দপুর গ্রামের আপেল উদ্দিনের দেড় বছরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস, নিমতলা গ্রামের তানজির হোসেনের ১১ মাসের শিশু কন্যা শাহারা খাতুন, ব্যাংদা গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে মিনাজ উদ্দিন (২), সিংহঝুলী গ্রামের সোহাগ হোসেনের মেয়ে জান্নাতুল (২), পৌর এলাকার তারিফ হোসেনের ছেলে আবির হোসেন (৫), সেলিম রেজার দেড় বছরের মেয়ে তাসলিম জাহান ও আক্তারুজ্জামানের ছেলে জুনায়েদ আলী (২)। প্রতি দিনই শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে অনেক শিশু চিকিৎসা গ্রহন করে বাড়িতে ফিরছে বলে জানা গেছে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহমেদ ফয়েজি বলেন, মুলত ঠান্ডার কারনে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বেশির ভাগ শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। শিশুরা যে কোন রোগে আক্রান্ত হলে অনেক অভিভাবক বাড়িতে রেখে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়াচ্ছে এটি মারাত্মক ভুল। ডায়রিয়া দেখা দিলে ওই শিশুর প্রথম ওষুধ হচ্ছে স্যালাইন। এই শীতে শিশুদেরকে কোন ক্রমেই ঠান্ডায় রাখা যাবেনা এবং শিশুর মাকেও যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।