‘সাংবাদিক অশোক সেনের ঘাটতি ১০ বছরেও পূরণ হয়নি’

সাংবাদিক অশোক সেনের সততা ও দেশপ্রেমের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে। রোববার বিকালে প্রথম আলোর যশোর অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক অশোক সেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। প্রথম আলো যশোর বন্ধুসভা ও অশোক সেন স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে এ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে অশোক সেনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় বন্ধুসভার বন্ধু ইন্দ্রানী অধিকারী ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ গান পরিবেশন করেন।

এরপর বন্ধুসভার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণ করা হয়। স্মৃতিচারণ করেন যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য সুকুমার দাস, শহরের ডা. আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জেএম ইকবাল হোসেন, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন, সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের প্রভাষক শাহ্জাহান কবীর, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এইচআর তুহিন, যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক পারভীনা খাতুন, প্রথম আলোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভার বন্ধু মুরাদ হোসেন।

বক্তারা বলেন, অশোক সেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের অংশ নেন। কিন্তু তিনি সনদপত্র নিয়ে গেজেটে নাম লেখাতে কখনো আগ্রহী ছিলেন না। তাঁর দেশপ্রেমের আদর্শ অনুসরণ করলে তাঁর প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো হবে।’ সাংবাদিক এইচ আর তুহিন বলেন, ‘অশোক সেনকে হারিয়ে যশোরের সাংবাদিকেরা একজন অভিভাবককে হানান। অশোক সেনের সেই ঘাটতি ১০ বছরেও পূরণ হয়নি। সাংবাদিকতা দিন দিন যেন পথ হারিয়ে ফেলছে। এজন্য অশোক সেনের মত সুসাংবাদিকদের আদর্শ ও চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

অধ্যক্ষ জেএম ইকবাল হোসেন বলেন, ‘অশোক সেনের আর্থিক অভাব থাকলেও অসৎ পন্থায় টাকা উপার্জন করেননি। সাংবাদিকতা জীবনে অন্যায়ের কাছে তিনি মাথা নত করেননি। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। কোন ধরণের লোভ-লালসা তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি।’ ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি অশোক সেন দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জানুয়ারী, ০৩, ২০২১ at ১৯:১৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আক/এমজেইউ