রাজশাহী শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের এমডিকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ: দাবি শিক্ষার্থীদের

এখনো পলাতক রয়েছেন রাজশাহীর বেসরকারি শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুজ্জামান স্বাধীন। শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় স্ত্রী ও ভাইকে গ্রেফতার করা হলেও প্রতিষ্ঠানটির হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের দাবি এমডি’কে গ্রেফতারে পুলিশের কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এছাড়াও মামলায় মোবাইল ছিনতাইয়ের কথা বলা হলেও সেখানে চুরির অপরাধের ধারা বসানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ভূক্তভোগীরা। আহত কয়েকজন শিক্ষার্থী এ অভিযোগ করেন।

আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২৭ নভেম্বর শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ওই দিনই এমডি মনিরুজ্জামান স্বাধীনের স্ত্রী বিউটি খাতুন ও ভাই মেহেদী হাসান মিথুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত পলাতক আছেন এমডি মনিরুজ্জামান স্বাধীন।

আরও পড়ুন
নাইক্ষ্যংছড়িতে যুবলীগের কর্মী সমাবেশ
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭

সূত্র মতে, ওই হামলার ঘটনায় রাতেই শিক্ষার্থীদের পক্ষে মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মনিরুজ্জামান স্বাধীনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০ আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় শিক্ষার্থীদের দুটি মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা উল্লেখ করা থাকলেও মামলায় চুরির ধারা বসানো হয়।

ছিনাতাইকৃত মোবাইল দুটি উদ্ধারেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্বল ধারার কারণে আসামিরা আদালতে দাঁড়িয়েই জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। অথচ প্রকাশ্যে ৫ মেয়েসহ ৯ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় দুটি মোবাইল। পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানিও করে হামলাকারীরা।হামলার শিকার ফওজিয়া আবিদা বলেন, পুলিশ ইচ্ছেকৃতভাবে মামলাটিকে দুর্বল করে দিয়েছে যাতে আসামিরা সহজেই জামিন পান। আসামিরা আদালতে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পেয়ে যাচ্ছেন।

আবার মোবাইল দুটিও উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পলাতক এমডিসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না পুলিশ। ফলে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাজশাহীতে।জানতে চাইলে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুম মনির বলেন, মামলায় যেসব ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব ধারায় বসানো হয়েছে। পলাতক আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পলতক আসামিদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান ওসি।

ডিসেম্বর, ০৪, ২০২০ at ১৭:১৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআরআর/এমআরআই