এমসি কলেজে ধর্ষণ: ডিএনএ টেস্টে ৪ জন জড়িত থাকার প্রমাণ

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে ডিএনএ টেস্টে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে বলেছেন, রোববার ডিএনএ প্রতিবেদন পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে। ডিএনএ প্রতিবেদন না আসায় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া এতদিন সম্ভব হয়নি। ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে আসায় দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে নববিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে করে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন তার স্বামী। সেখানে যাওয়ার পর অভিযুক্তরা তাদের জোর করে কলেজ ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে। করোনার কারণে বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন

মামলার পর বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিন নামের আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এর আগে গ্রেপ্তারকৃত ৮ আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তারা।

ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানিয়েছেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা এখন যা করণীয় করে যাবেন।

নভেম্বর, ৩০, ২০২০ at ১৪:১০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআরআই