শিবগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমার গোপন বিয়ে, স্বামী কর্তৃক মারপিট ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ!

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা তার গোপনে বিয়ে আবার সেই স্বামী কর্তৃক যৌতুকের দাবীতে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন এবং তার কাছ থেকে ওই স্বামী কর্তৃক ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ধ্রুম জালের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ১৯ নভেম্বর ) ভোররাত অবধি বিয়টি নিয়ে বিভিন্ন ভাবে দেওয়ান দরবারের চেষ্টা চলছিলো।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার প্রেমের সম্পর্কে  বগুড়া জেলা ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহ কামাল তালুকদার এর সাথে গত ২০ মার্চ ২০১৯ তারিখে বগুড়ার একটি কাজী অফিসে ১০ লক্ষ টাকা দেন মহর ধার্য করে বিবাহে আবদ্ধ হন।

বিয়ের সময় শাহ কামাল নগদ ১ হাজার টাকা দেনমহর পরিশোধ করেন। উভয় পরিবারের লোকজন বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখেন। বিয়ের পর হতেই তারা দু’জন গোপনে ঘর সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এদিকে শাহ কামাল এর বাবা অসুস্থ্য হওয়ায় সে তার স্ত্রী ফাহিমা আকতার এর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা চিকিৎসা সেবার জন্য গ্রহণ করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে মাঝে মধ্যেই বাক বিতন্ডতা’র সৃষ্টি হয় ও সাংসারিক ভাবে কলোহ বাঁধে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান গত শুক্রবার তার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে ৬ লক্ষ টাকা ফেরৎ চাইলে তার স্বামী বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় তাকে গালি-গালাজ করে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। কিন্তু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তার স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর বাড়িতে মাটিতে ঢালা বিছানা করে জীবন যাপন করতে থাকে। এর একপর্যায়ে ১৮ নভেম্বর সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পুণরায় বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হলে স্বামী শাহ কামাল, ভাগনি মারিয়া ও ফুফু শাশুড়ী আঞ্জুয়ারা বেগম তাকে বেধরক ভাবে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। খবর পেয়ে ফাহিমার দুই বোন পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শজিমেকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

উল্লেখ্য এর পূর্বে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আকতার এর অন্য জায়গায় বিবাহ হয়েছিল এবং স্বামী শাহ কামাল এর বর্তমানে স্ত্রী ও ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আকতার বলেন, শাহ কামাল আমার সাথে প্রতারনা করেছে, তার পূর্বের বউ রেখে আমাকে বিয়ে করেছে। শুধু তাই নয় ওই প্রতারক তার বাবার চিকিৎসার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে ওই প্রতারক আমার কাছ থেকে আরো ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে আমাকে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমি আইনের আশ্রয় নিবো।

এ ব্যাপারে স্বামী শাহ কামাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা, সে আমার স্ত্রী কিন্তু টাকার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রকৃত পক্ষে আমি তার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা ধার নিয়ে ছিলাম সে আমার কাছ থেকে ওই ২ লক্ষ টাকা পাবে। আমি বা আমার পরিবারের কেহই তাকে কোন নির্যাতন করিনি।

এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যানকে মারপিটের খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এটি তাদের পারিবারিক সমস্যা। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 ১৯ নভেম্বর, ২০২০ at ১২:০৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএম/এমএআর