মাইন্ড এইড হাসপাতালে তালা, পরিচালক গ্রেপ্তার

চিকিৎসার জন্য ভর্তি হওয়ার সময় জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতাল।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার সিভিল সার্জেন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আহসানুল হক হাসপাতালটি পরিদর্শনের পর পুলিশ এতে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এদিকে এএসপি আনিসুলকে হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর নিউরো সাইন্স হাসপাতাল এলাকা থেকে সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার নিয়াজ মোর্শেদ ওই হাসপাতালের পরিচালক। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হল।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের এডিসি মৃত্যুঞ্জয় দে সজল জানান, এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার সকালে মানসিক অসুস্থতার কারণে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে স্বজনেরা রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যান। ভর্তি প্রক্রিয়া চলার মধ্যে হাসপাতালের কর্মীরা তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান একটি কক্ষে।

সিসিটিভি ফুটেজে সেখানে আনিসুলক করিমকে শারীরিক নির্যাতনের দৃশ্যও দেখা যায়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার আনিসুল করিমের বাবা বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হাসপাতালের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

৩১তম বিসিএসের পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম সর্বশেষ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তার স্ত্রী শারমিন সুলতানাও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই দম্পতির চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে।