গোটা বিশ্বের দৃষ্টি এখন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার এখন উৎকণ্ঠার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন ভোটের এই লড়াই।

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয়বারের মতো রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হবেন নাকি তার ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সে আসনে অধিষ্ঠিত হবেন- এই লড়াইয়ের শেষ দেখতে সর সইছে না বিশ্ববাসীর।

ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় বৈদেশিক নীতি গবেষণা দল চ্যাট্যাম হাউসের একটি ভাষ্য অনুসারে, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন, তিনি আমেরিকার কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পদ কিভাবে কাজ করছে এবং বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র তার বর্তমান মিত্র এবং বহু পাক্ষিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কিভাবে সম্পর্ক বিদ্যমান রাখবে তা নির্ধারণ করবেন।

যিনিই হোয়াইট হাউসে বসবেন, তিনিই যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের স্বরূপ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তার পথনির্দেশনা নির্ধারণ করবেন যা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন । অনেকে নিজের কাজ থেকে ছুটি নিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পরিকল্পনা করছেন। কিছু শহর বিলবোর্ড আকারের টেলিভিশনে এ নির্বাচনের প্রচার করার পরিকল্পনা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রায় ২১ কোটি আমেরিকান ভোট দেবেন। করোনাভাইরাসের কারণে এরই মধ্যে অনেক মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। আগাম ভোটের এবারের সংখ্যাটা অন্য যে কোনোবারের চেয়ে বেশি।

অধিকাংশ জরিপের ফলে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প থেকে এগিয়ে বাইডেন। যদিও শেষ দিকে ব্যবধান অনেকটা কমিয়ে এনেছেন ট্রাম্প। ফলে লড়াইটা যে খুব হাড্ডাহাড্ডি হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে নির্বাচনের আগের দিন প্রচারণায় ইতি টেনেছেন উভয় প্রার্থী। শেষ দিন বাইডেন প্রচারণা চালিয়েছেন অন্যতম ফল নির্ধারক অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ায়।

সেখানকার পিটসবার্গে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ৭৭ বছর বয়সী বাইডেন বলেন, “এটা রুখে দাঁড়ানো এবং আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার সময়। আমরা এটা করতে পারব।”

সেই সঙ্গে আগামীকাল বড় ব্যবধানের জয় পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদ প্রকাশ করেন বাইডেন, “আমার মনে হচ্ছে, আগামীকাল আমরা বিশাল একটি জয় পেতে যাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, জিততে পারলে ‘প্রথম দিন থেকেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবেন।’

শেষ দিন বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে প্রচারণা চালিয়েছেন ট্রাম্প। মিশিগানে এসে প্রচারণার শেষ করেছেন। রিপাবলিকানরা সাধারণত এই রাজ্যে জয় না পেলেও এখানে এসে ২০১৬ সালেও প্রচারণা শেষ করেছিলেন ট্রাম্প এবং জয় পেয়েছিলেন।

এবারও মিশিগানে প্রচারণা শেষ করলেন ট্রাম্প। এটা কি কুসংস্কার? রিপাবলিকান প্রার্থীর জবাব, “চার বছর আগে এখানেই আমি শেষ করেছিলাম। আমি কিছুটা কুসংস্কারে বিশ্বাসী। এবারও তাই করলাম।”

এর আগে নর্থ ক্যারোলিনায় সমর্থকদের উদ্দেশে ৭৪ বছর বয়সী ট্রাম্প বলেন, আগামী বছর ইতিহাসে দেশকে সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক বছর উপহার দিতে চান তিনি। এ সময় চলতি বছর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন।

০২ নভেম্বর, ২০২০ at ১২:২১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেরু/এমএআর