রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। একইসঙ্গে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও দূতাবাস বন্ধেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল শুরু হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন হেফাজতের শীর্ষনেতা আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। দুপুর পৌনে ১টার দিকে মিছিলটি বেইলি রোডের সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে হেফাজতের নেতারা সেখানে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
এখানে মোনাজাত করে ঘেরাও মিছিল সমাপ্ত করেন হেফাজতের ঢাকার শীর্ষনেতা নূর হোসেন কাশেমী। দলীয় সিদ্ধান্তে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিন ভোর ৬টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতের কর্মীরা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে জড়ো হতে শুরু করে। বেলা ১১টায় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিজয়নগর, প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, গুলিস্তান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। আশপাশের এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসের শহরতলিতে এক শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহত ওই শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন। ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের মহানবী (সা.)-এর কার্টুন দেখিয়েছিলেন। এ ঘটনাকে ঘিরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শনী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্কের টানাপড়েন তৈরি হয়েছে।
০২ নভেম্বর, ২০২০ at ১৪:৫৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মাক/এমএআর
