পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় বেড়ে উঠেছে ধানের চারা

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া বন্দরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকয় বেড়ে উঠেছে ধানের চারা, এলাকা বাসীর চরম দুর্ভোগ। উপজেলার গুজিয়া বন্দরে রয়েছে বেশ কিছু শিক্ষা। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গুজিয়া-মোকামতলা পাকা রাস্তা দিয়ে প্রতিষ্ঠানে লেখাপাড়া করতে যাতায়াত করে।

কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে না গেলেও বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তাটি পানিতে ডুবে থাকায় হাজার হাজার মানুষদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তাসহ দুই পাশে পানি জমে থাকায় এলাকার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে গত ২ মাস পূর্বে ধানের চারা রোপন করে।

ধানের চারাগুলে বর্তমানে বেশ বড় হয়েছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে রাস্তায় ও রাস্তার পার্শ্বে পচা কাঁদার সৃষ্টি হয়ে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাড়িয়েছে। ভ্যান চালক আক্কাস বলেন, এই রাস্তায় আমি ভ্যান চালায়।

গুজিয়া-মোকামতলা গুজিয়া বন্দরের রাস্তার পানি জমে থাকায় দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে, কষ্ট করে চলাচল করতে হয়। স্থানীয় মুদি ব্যবসীয় শাহারুল জানায়, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গুজিয়া বন্দরে রাস্তা বৃষ্টির পানি জমে থেকে রাস্তার পার্শ্বে পঁচা দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ড্রেনের নির্মাণের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান জানিয়েছি।

নাম প্রকাশ্যে অনুচ্ছিক এক ব্যক্তি জানায়, গুজিয়া বন্দরে পার্শ্বেই করতোয়া নদীয় রয়েছে ড্রেন নির্মাণ করে নদীকে পানি যাওয়ার ব্যবস্থা করলে এই সমস্যা থাকবে না।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান তোফায়ের আহম্মেদ সাবু বলেন, গুজিয়া বন্দরের দোকান মালিকরা রাস্তার জায়গায় দোকান পাট ও বিল্ডিং নির্মাণ করার কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার সমস্যা হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা যদি জায়গা ছেড়ে দেয় তাহলে অচিরেই ড্রেন নির্মাণ করে সমস্যা সমাধান করা হবে।

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১১:৩৯:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএসএম/এমএএস