বিলুপ্তের পথে ঠাকুরগাঁওয়ের মৃৎশিল্প

ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের কদর কমছে ঠাকুরগাঁওয়ে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও চাহিদার সল্পতাসহ নানা কারণে বিলুপ্তের পথে এ শিল্প। তার মধ্যে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। মৃৎশিল্পীরা এখন অনেক কষ্টে আছে। জেলা শহর থেকে অদূরে আক্চা ইউনিয়নের প্রায় ১০টি পরিবার মাটির জিনিস তৈরির কাজ করতেন।

ফুলের টব, ডেসকি, কলস, কড়াই, দইয়ের বাটিসহ বিভিন্ন ধরণের মাটির জিনিসপত্রে ফুটে ওঠে কারিগরের হাতের অপরূপ কারুকার্য। কিন্তু বাজারে প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়ামসহ অন্যান্য দ্রব্যের তৈরি পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাটির জিনিসের চাহিদা এখন নেই বললেই চলে।

জানা গেছে প্রতি,হেমতা,সাবিত্রি,কাঁচা মালের দাম বাড়তি হওয়ায় কারিগররা মাটির জিনিস তৈরি করে আশানুরূপ লাভও করতে পারছে না। তাই জীবন ও জীবিকার তাগিদে অনেকে পরিবর্তন করছে পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য ‘কুমার পেশা’। মৃৎশিল্প জানায়, বর্তমানে এই ইউনিয়নের মাত্র ৭/৮ টা পরিবার যুক্ত আছে এই পেশায়।

আগের মতো লাভ না হওয়ায় এই ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে কারিগররা। ঠিকমতো ভরণ-পোষণ দিতে পারছেনা কর্মীদের। এতে একদিকে কারিগরেরা সংকটে পড়ছে পরিবার নিয়ে, অন্যদিকে দেশ হারাতে বসেছে নিজস্ব ঐতিহ্য। তাই মৃৎশিল্পকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে সরকারি সহায়তার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

তারা জানান, সবাই নাম নিয়ে চলছে যায় কিন্তু কিছুই পাইনা ফের বেলে করোনা ভাইরাস না কি। মৃৎশিল্প বাঁচাতে এবং এর সাথে সংযুক্ত কয়েটি পরিবারের জীবিকা রক্ষায় এগিয়ে আসবে কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সবার। করোনা ভাইরাস চলেগেলে আমরা অন্য পেশায় চলে যাব আমরা সব পরিবার জিবন তো বাচাতে হবে। এখন মেলামাইনে জিনিস পত্র আশায় আমরা এখন হতাশ।

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১৭:৫২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এএ/এমএএস