পাকা সড়কের বেহালদশার কারনে ৩ উপজেলার মানুষ চরম দূর্ভোগেম

যশোরের চৌগাছার একটি গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক সংস্কার না করার কারনে বছরের পর বছর দূর্ভোগ পোহাচ্ছে কয়েক গ্রামের মানুষ। সড়কটির বর্তমান যে অবস্থা তাতে কারে দেখে বোঝার উপায় নেই এই সড়কটি কোন এক সময় পাকা ছিল। ভোটের সময় এলে সড়কটি পুনরায় পাকা করা হবে নেতারা এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোট হয়ে গেলে তা ভুলে যান বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি অতি দ্রুত নতুন করে পাকাকরনের দাবি জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসি।

উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের কাদবিলা দর্গামোড় টু ঝিনাইদাহ জেলার কোটচাঁদপুর বিদ্যাধরপুর অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ কিলোমিটার। স্থানীয়রা জানান, ১৯৯১ সালের পর তৎকালীন সরকার এই সড়কটি পাকা করেন। সড়কটি পাকাকরনের পর তিন উপজেলাবাসির মধ্যে ব্যবসা বানিজ্যসহ সব কিছুতে গতি ফিরে আসে। সড়কটি দিয়ে প্রতি দিন কাদবিলা, মির্জাপুর, হোগলডাঙ্গা, চাঁদপাড়া, নারয়ানপুর, বেলেমাঠ, পুড়াপাড়াসহ অন্তত ১০/১২ গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। কোন ভারী যানবাহন চলাচল না করলেও ছোট খাটো যানবাহনের চলাচল চোখে পড়ার মত ছিল। এ অঞ্চলের কৃষক তার উৎপাদিত ফসল নিয়ে দ্রুত চৌগাছা, মহেশপুর কিংবা কোটচাঁদপুর বাজারে নিতে পারতেন। বাড়ি থেকেই বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেছে এলাকার ছেলে মেয়েরা। কিন্তু এখন যেন সব কিছুই অতীত। সড়কটির যে বেহালদশা তাতে পায়ে হেঁটে চলায় কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসি সড়কটি পাকাকরনের জন্য বিভিন্ন নেতার কাছে ধর্না দিয়েও কোন ফল পাইন বলে অভিযোগ।

স্থানীয়রা বলেন, হোগলডাঙ্গা গ্রামটি চৌগাছা উপজেলার অর্ন্তগত হলেও ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার গা ঘেষে গড়ে উঠা। এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান পেশা হচ্ছে কৃষি ও মাছ চাষ। কৃষক তার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাঠে ফসল উৎপাদন করছেন। অথচ সড়কটির বেহালদশার কারনে সেই ফসল সময় মত বাজারে নিতে না পারায় কাংখিত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই অবস্থা মাছ চাষিদের বেলায়। সড়কটির বহু স্থানে যে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে তাতে করে ভ্যান কিংবা অন্য কোন যানবাহনে করে মালামাল নিয়ে চলার কোন উপাই নেই।

হোগলডাঙ্গা গ্রামের মোবারক হোসেন, মফিজুর রহমান, হানেফ আলী, রফিকুল ইসলাম, আবু মুসা, নুর ইসলাম, সৈয়দ আলী বলেন, সড়কটির বেহালদশার কারনে মানুষের কষ্টের কোন শেষ নেই। আমরা সকলেই কৃষি কাজ করি। সারা দিন মাঠে কাজ করে কোন প্রয়োজন হলে উপজেলা সদরে যেতে আমাদের মাঠের থেকেও যেন কয়েকগুন কষ্ট ভোগ করে গন্তব্যে পৌছাতে হয়। সড়কটি যখন ভাল ছিল তখন রাতেও সড়কে মানষের দেখা মিলত। কিন্তু এখন রাত তো দুরের কথা দিনের বেলাতেও কেউ এই সড়ক দিয়ে আসতে চাই না।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীসহ একাধিক নেতাকর্মী বলেন, সড়কটি পাকাকরনের জন্য বিভিন্ন নেতার কাছে ধর্না দিয়েও কোন ফল হয়নি। তারা শুধু আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু কাজের বেলায় কিছুই হয়নি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসি সড়কটি দ্রুত পাকাকরনের জন্য সংশ্লিষ্ঠদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ২০:৫২:৪৪ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআই/এনআফটি